শহীদ সাংবাদিক বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সার এবং প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা জহির রায়হানের বোন ভাষাসৈনিক নাফিসা কবীর মারা গেছেন।
মাদরাসা-ই-আলিয়ার সাবেক প্রিন্সিপাল মওলানা হাবীব উল্ল্যা ও সুফিয়া খাতুনের জ্যেষ্ঠা কন্যা নাফিসা কবীর ৫ ভাই ও ৩ বোনের মধ্যে ছিলেন দ্বিতীয়। তাঁর স্বামী মরহুম ডা. এম এ কবীর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের এমবিবিএস প্রথম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন।
মরহুমের নিকটাত্মীয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের পরিচালক (গণসংযোগ) লাবণ্য আহমেদ জানান, সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট লুইসের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি নিউমোনিয়াজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল প্রায় ৯০ বছর। তিনি ৪ মেয়ে ও এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
অত্যন্ত মেধাবী ও প্রতিভাসম্পন্ন ছাত্রী নাফিসা মাধ্যমিক পরীক্ষায় তৎকালীন ফেনী মহকুমার আমিরাবাদ হাইস্কুল থেকে সম্মিলিত মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করে গোল্ড মেডেল অর্জন করেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে কৃতিত্বের সাথে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। মানবতা, নারী-পুরুষের সমতা, সুশাসন, গণতন্ত্রের উন্নয়নে আমৃত্যু কাজ করে গেছেন তিনি।
ছাত্রজীবনে ভাইদের সঙ্গে কমিউনিস্ট পার্টির রাজনীতিতে যোগ দেন এবং স্বামীর সাথে ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন নাফিসা কবীর। মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যদেরকে সাথে নিয়ে তিনি ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে দেখা করেন। বঙ্গবন্ধু তাঁর সহজাত উদারতা ও আন্তরিকতার সাথে তাঁদের আর্জি শোনেন এবং দ্রুততম সময়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের পুনর্বাসনে প্রত্যেক পরিবারকে ঢাকায় বাসস্থানের ব্যবস্থা করেন।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট