যশোরের চৌগাছা শহরের প্রাণকেন্দ্রে এক রাতে ৮ দোকানের সার্টার ভেঙ্গে নগদ টাকা ও মালামাল চুরি করেছে চোরেরা। ৫ ফ্রেব্রুয়ারি ভোরে শহরের কাপুড়িয়া পট্রি এলাকায় এ চুরির ঘটনা ঘটে। একরাতে ৮ দোকানে চুরির ঘটনা ব্যবসায়ীদের মধ্যে চুরি আতংকের সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার সকালে ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা চুরির ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে শহরে মিছিলের চেষ্টা করলে পুলিশের বাধায় তা বন্ধ হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা জানান, শহরের কাপুড়িয়া পট্রির সবুজ সাথী বস্ত্র বিতান, ঢাকা বস্ত্র বিতান, সাক্স টেইলার্স, মায়ের আচল বস্ত্র বিতান, বাবুল গার্মেন্টস এবং কামিল মাদ্রাসা রোডের সাঈদ ভ্যারাইটি স্টোরের সার্টার ভেঙ্গে নগদ টাকা ও মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা। চুরির ঘটনায় প্রায় ১ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন।

মায়ের  আচল বস্ত্র বিতানের মালিক রাজু হোসেন জানান, প্রতিদিনের মতো শুক্রবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাসায় যাই। শনিবার সকালে জানতে পারি বাজারে কয়েকটি দোকানে চুরি হয়েছে। সংবাদ পেয়ে দোকানে গিয়ে দেখি আমার দোকানেও চুরি হয়েছে। সার্টার ও ক্যাশের ড্রয়ার ভেঙ্গে নগদ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে গিয়েছে চোরেরা। একই সময় সবুজ সাথী বস্ত্র বিতান থেকে নগদ ২৫ হাজার টাকা ও কয়েকটি কম্বল নিয়ে গিয়েছে। একই ভাবে দোকানের সার্টার ভেঙ্গে সাক্স টেইলার্স ও সাঈদ স্টোর থেকে নগদ টাকা চুরি হয়েছে। চুরির সময় চোরেরা ঢাকা বস্ত্র বিতানসহ কয়েকটি দোকানের সিসি ক্যামেরার মেমরি কার্ড নিয়ে গেছে।

চৌগাছার বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইবাদৎ হোসেন বলেন, ‘শহরে একরাতে অনেকগুলো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ‘চুরি আতংক’ বিরাজ করছে। দোকানগুলোতে চুরির ঘটনায় প্রায় এক লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে’ বলে তিনি জানান। এদিকে চুরির ঘটনায় শহরের ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ মিছিলের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় ঘটনার নিন্দা জানিয়ে চোরেদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নেওয়ার জন্য একদিনের আল্টিমেটাম দেন ব্যবসায়ীরা। এ ব্যাপারে চৌগাছা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সবুজ বলেন, এ ঘটনায় শহরের কাপুড়িয়া পট্রির একটি দোকানের সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাপ্ত ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। খুব শিঘ্রই দুষ্কৃতিকারীদের সনাক্ত করে গ্রেফতার করা হবে।