বিরিয়ানি নাম শুনলেই একটা শাহি শাহি ভাব চলে আসে।বিরিয়ানি নিয়ে অনেক কল্পকাহিনী রয়েছে।চলুন বিরিয়ানি নিয়ে কিছু কথা যেনে আসি।
বিরিয়ানি নবাবদের খাবার।লোক মুখে শোনা যায় বিরিয়ানি বাংলায় আসে মোঘল সম্রাটদের সময় থেকে।তখনকার সময়ে নবাবরা শুধু দুপুরের খাবারে বিরিয়ানি খেত।তবে আমরা বর্তমান ভোজনরসিক বাঙালি সকাল দুপুর যেকোন সময় বিরিয়ানি খেতে ভালোবাসি।
আমাদের সবার পরিচিত সম্রাট শাহজাহানের প্রিয়তমা স্ত্রী মমতাজ এই বিরিয়ানি তৈরি করেন সৈনিকদের জন্য। কারণ বিচক্ষণ বুদ্ধীমতী মমতাজ খেয়াল করলেন সৈনিকরা যুদ্ধে যেয়ে দুর্বল হয়ে পড়ছে খাবার সল্পতার জন্য। এজন্য তিনি নিজে রসুইঘরে যান এবং চাল,ডাল,প্রায় ২০ রকমের মসলা,মাংস,সবজি দিয়ে তৈরি করেন সুস্বাদু বিরিয়ানি।পৃথিবীতে প্রায় ২৬ রকমের বিরিয়ানি তৈরি হয়ে থাকে।তবে ভারতের হায়দ্রাবাদেই ৫০ রকমের বিরিয়ানি আছে।সারা পৃথিবীতে সবচেয়ে জনপ্রিয় বিরিয়ানি খাসির মাংসের কাচ্চি বিরিয়ানি।আমাদের দেশের পুরান ঢাকাতো আছেই কাচ্চি এবং সকল প্রকার বিরিয়ানির জন্য বিক্ষাতো।পুরান ঢাকার এক বড় ভাই বলছিলো তারা নাকি সকাল,দুপুর,রাত তিন বেলায় বিরিয়ানি খায়।শুনে খুব অবাক লেগেছিলো কিন্তু সত্যি পুরান ঢাকার মানুষ এরকমই বিরিয়ানি ভালোবাসে।
আমরাও আপনাাদের জন্য নিয়ে এসেছি মজাদার এবং স্বাস্থ্যকর বিরিয়ানি।
নিরাপদ খাদ্য আমাদের অঙ্গিকার। স্বাস্থ্যকর খাবার খান সুস্থ থাকুন।