যশোরে ভোজ্য তেলের লাগামহীন মূল্য, ভোগান্তিতে নিম্নআয়ের মানুষ সহ সাধারণ জনগণ। আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য তৈলের মুল্য বৃদ্ধির কারনে দেশেও বেড়েছে মানুষের দৈনন্দিন খাদ্যপণ্যের তালিকার মধ্যে থাকা ভোজ্য তেলের দাম, তবে সরকারের নির্ধারিত বেধে দেওয়া মূল্যের তোয়াক্কা না করে যশোরে মুনাফাখোরেরা অধিক লাভের আশায় কেজি প্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা খোলা বাজারে বেশী দাম নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
আজ বুধবার যশোর শহরের অন্যতম মার্কেট প্লেস বড় বাজারে বিভিন্ন দোকানে দিনভর ঘুরে দেখা যায় বাজারের বিভিন্ন দোকানে সরকারের বেধে দেওয়া প্রতি কেজি পাম তৈলের দাম ১৫ টাকা বেড়ে ১৩৩ টাকা, অথচ এটা বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৪৮ টাকা, যেটা প্রতি কেজিতে অতিরিক্ত ১৫ টাকা বেশী নেওয়া হচ্ছে। খোলা সয়াবিন তৈলের দাম ৭ টাকা বেড়ে ১৪৩ টাকা নির্ধারন করা হলেও যশোরের খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজী ১৬৫ টাকা। বেশী নেওয়া হচ্ছে কেজি-তে ২২ টাকা।
এদিকে বোতলজাত তৈলের মূল্য ৮ টাকা বাড়িয়ে ১৬৮ টাকা নির্ধারন করা হলেও বোতলের গায়ে মূল্য লেখা থাকায় এটি নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। ৫ লিটারের বোতলজাত তৈল ৩৫ টাকা বেড়ে ৭৯৫ টাকা নির্ধারন করা হলেও এটি বাজারে বিক্রি হচ্ছে সর্বনিম্ন ৮০০ টাকা।
দোকানীদের কাছে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দাম নেয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা পাইকারদের দোহায় দিয়ে দায় সারছেন, এবং সরকার নির্ধারিত মূল্যের কথা অধিকাংশ দোকানীরা জানেন না বলেও স্বীকার করেন। স্থানীয় বাজার কমিটি এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিভাগ অথবা প্রসাশনের কোন নজর না থাকায় সাধারন মানুষের এ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে,আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য তৈলের মূল্য বৃদ্ধির কারনে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স এ্যান্ড বনস্পাতি ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতাদের সাথে বৈঠক শেষে বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব জনাব তপন কান্তি ঘোষ উপরোল্লিখিত মূল্য নির্ধারণ করেন এবং গত সোমবার থেকে এটি স্থানীয় বাজারে কার্যকর হবে বলেও উল্লেখ করেন,
তবে জানা গেছে সরকার ঘোষনার পূর্বেই যশোরের বাজার গুলোতে বেশী দামে ভোজ্য তৈল বিক্রি হচ্ছে।