আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লংঘন করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স-বিএসএফ) বাংলাদেশে প্রবেশ করে গ্রামের বাসিন্দাদের উপর চরাও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (০৯ ফেব্রæয়ারি) দুপুর আড়াইটায় লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের বাংলাদেশি সীমান্ত অতিক্রম করে বিএসএফ।
স্থানীয়রা জানায়, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ডিএমপি ১০ নম্বর মেইন পিলারের ৪ ও ৫ নম্বর সাব পিলার সংলগ্ন গ্রাম দহগ্রাম ইউনিয়নের সৃষ্টিয়ারপাড়। বুধবার (০৯ ফেব্রæয়ারি) দুপুরে ওই গ্রাম হয়ে পাটগ্রাম উপজেলায় চলাচলের পাকা রাস্তার পাশে পূর্বে স্থাপিত বৈদ্যুতিক খুঁটিতে তার টানতে থাকে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন। এসময় ভারতীয় বিএসএফ উমর ক্যাম্পের ৪ জন বিএসএফ অস্ত্র সজ্জিত সদস্য সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের প্রায় ৫০ গজ অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বিদ্যুতের লোকজনদের গালি-গালাজ করে লাঠি ও অস্ত্র উচিয়ে কাজ করতে বাঁধা দেন। গ্রামবাসিরা এগিয়ে গেলে এসময় বিএসএফ সদস্যরা অস্ত্র ও হাতে থাকা লাঠি দিয়ে স্থানীয় ১০-১৫ জন বাংলাদেশি বাসিন্দাদের উপরও চরাও হয় বলে সৃষ্টিয়ারপাড় গ্রামের স্থানীয়রা দাবি করেন।
গ্রামবাসিদের দাবি বিএসএফ প্রায়ই রাতে কোনো সময় দিনেও সীমান্ত অতিক্রম করে গ্রামে প্রবেশ করে গালি-গালাজ করে ও ভয় দেখায়। এসময় বিজিবিকে খবর দিলে বিজিবি দেরিতে পৌঁছে।
সৃষ্টিয়ারপাড় গ্রামের বাসিন্দা বেলাল হোসেন (৩৫) ও জয়নাল আবেদীন (৩৩) বলেন, ‘সীমান্ত অতিক্রম করে ৪ জন বিএসএফ সদস্য অস্ত্র ও লাঠি হাতে আমাদের গ্রামে প্রবেশ করে আমাদের উপরই লাঠি দিয়ে মারতে উদ্যত হয়। প্রায় ১৫-২০ মিনিট সময় ধরে তাঁরা অবস্থান করেছিল। এসময় বিজিবিকে খবর দেওয়া হলে বিজিবি আসার আগেই বিএসএফ সদস্যরা ভারতের ভিতরে চলে যায়।’
বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) পানবাড়ি কোম্পানি অধিনায়ক সুবেদার খাইরুল ইসলাম, ‘ঘটনাটি শুনেছি। শূণ্য রেখার দেড়শ গজের মধ্যে কোনো স্থাপনা করার নিয়ম নেই। এ কারণে শূণ্য রেখার পাশেই বিএসএফ বাঁধা প্রদান করতে আসে। এ ব্যাপারে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ভারতীয় ৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ডারের সাথে সীমান্তে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।’
এ বিষয়ে বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রংপুর ৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল এএফএম আজমল হোসেন খান বলেন, ‘আমি একটা গুরুত্বপূর্ন সভায় আছি। পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।’
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট