নেদারল্যান্ডের রাজধনী আমস্টারডামের মার্নিক্স পার্কে এই অদ্ভুত ভাস্কর্যটি রয়েছে। এক ব্যক্তি, সম্ভবত বেহালাবাদক, একটি বেহালা কেস নিয়ে মার্নিক্স স্ট্রিটের দিকে যাচ্ছেন। ইনি মাথা উঁচু করে কোথাও ছুটে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। অথচ তার মাথাই নাই! তবে কি সংগীত, সংগীত করে করে তার মাথাটাই গেছে! মাথা গেলে গেছে, তা বলে ভদ্রতা যায়নি! এতো তাড়ার ভেতরও কেউ একজনকে অভিবাদন জানাতে হ্যাট খুলে হাতে নিতে ভোলেননি!
এই ভাস্কর্যটি ১৯৮২ সালে এই ভাস্কর্যটি মার্নিক্স পার্কে স্থাপন করা হয়। কিন্তু এর ভাস্কর কে তা এখনো জানা যায়নি। একজন রহস্যময় শিল্পী দীর্ঘদিন ধরে আমস্টারডাম শহরকে সুন্দর করতে ব্যস্ত রয়েছেন। শিল্পী ভাস্কর্য তৈরি করে রাতের বেলা গোপনে, লোকচক্ষুর অন্তরালে কোনো সর্বজনীন স্থানে রেখে যান। ভাস্কর্গুলো ব্রোঞ্জ বা লোহার তৈরি। শহরজুড়ে তার তৈরি এরকম বেশ কিছু ভাস্কর্য রয়েছে।
এটি গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে ঘটছে। এখনো শিল্পীর নাম জানা না গেলেও তিনি একজন চিকিৎসক বলে জানা গেছে। অবসর সময়ে তিনি ভাস্কর্য তৈরি করে তা পাবলিক প্লেসে রেখে যান। এই অনামা ভাস্করের শিল্পকর্মগুলো নগরবাসীর কাছে বেশ সমাদর লাভ করেছে। তবে শর্ত হলো তার পরিচয় প্রকাশ করা যাবে না।