৯৩ মিনিট অপেক্ষা করতে হলো পিএসজিকে রেনায়েস বাঁধা পার হওয়ার জন্য। আক্রমণের ওপর আক্রমণ করেও যেন ভাঙতে পারছিল না রেনায়েসের রক্ষণভাগ। একের পর এক সুযোগ নষ্ট করছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। অবশেষে নির্ধারিত নব্বই মিনিট শেষে যোগ করা তিন মিনিটের মাথায় লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপ্পের রসায়নে গোলের দেখা পায় পিএসজি। এভাবেই নিশ্চিত হয় তিন পয়েন্ট।
ঘরের মাঠ পার্ক দ্যা প্রিন্সেসে লিগ ওয়ানের ম্যাচে রেনায়েসকে ১-০ গোলে হারায় পিএসজি। দলের জয়সূচক গোলটি করেছেন ফরাসি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পে। তার গোলের যোগানদাতা আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি। এই জয়ে ২৪ ম্যাচে ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ স্থান আরো পাকাপোক্ত করলো মাউরো পচেত্তিনোর দল। সমান ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে নেমে গেছে রেনায়েস। এই জয়ে টানা ১৫ ম্যাচ অপরাজিত থাকল পিএসজি। সেই সঙ্গে দ্বিতীয় স্থানে থাকা মার্সেইয়ের সঙ্গে পিএসজির পয়েন্ট ব্যবধান বেড়ে দাঁড়াল ১৬তে।
আগের ম্যাচে লিলেকে বড় ব্যবধানে হারালেও এ ম্যাচে লিওনেল মেসি-এমবাপ্পেদের কাছে গোল যেন এক ‘সোনার হরিণ’। পুরো ম্যাচে আক্রমণের পসরা সাজিয়েও রেনায়েসের রক্ষণভাগ ভাঙতে পারছিল মাউরো পচেত্তিনোর শিষ্যরা। শেষ পর্যন্ত মেসির বাড়ানো বলে দারুণ এক গোল করে পিএসজিকে রক্ষা করেন এমবাপ্পে। সুযোগ পেয়েছিলো রেনায়েসও। তবে দুর্ভেদ্য জালের দেখা পায়নি সফরকারীরা।
ম্যাচের শুরুতেই দুই দফা আক্রমণ করে বসে রেনায়েস। সপ্তম মিনিটে পিএসজির রক্ষণভাগে ভয় ধরায় রেনায়েস ফরোয়ার্ড লাইন তবে কেইলর নাভাসের দৃঢতায় রক্ষা পায় স্বাগতিকরা। এজ অফ দ্যা বক্স থেকে বোরিগার্দের ভলি বাতাসে ভেসে পোস্টের দিকে গেলে দেখে শুনে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন নাভাস। ১৪ মিনিটে আবারো সুযোগ পায় তারা কিন্তু সানতামারিয়ার হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে সুযোগ নষ্ট হয় রেনায়েসের।
৩৫ মিনিটে ম্যাচে প্রথমবার ভালো সুযোগ পায় পিএসজি। তবে তা কাজে লাগেনি। বক্সের কোণা থেকে রেনায়েসের তিন-চারজন ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে কিলিয়ান এমবাপ্পের বাঁকানো শট দূরের পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। ৪০ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পের প্রচেষ্টা সাইড বারে লেগে ফিরে এলে ফিরতি বলে গোলের উদ্দেশ্যে শট নেন জাভি সিমন্স কিন্তু তা কোনো মতে রক্ষা করেন গোলরক্ষক আলেমাদার। বল চলে যায় টাচলাইনের দিকে, সেখানে বলে নিয়ন্ত্রণ নিতে গিয়ে প্রতিপক্ষ ফুটবলারের পায়ে আঘাত করে বসেন এমবাপ্পে, হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। প্রথমার্ধে গোল শূন্য সমতায় শেষ হয়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোলের খুঁজে মরিয়া পিএসজি। ৬৩ মিনিটে বড় সুযোগ নষ্ট করেন এমবাপ্পে। এজ অফ দ্যা বক্স থেকে ডাক্সলারের বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গোলরক্ষক আলেমাদারের সঙ্গে ওয়ান-টু-ওয়ান অবস্থা তৈরি করেন এমবাপ্পে কিন্তু এই ফরাসি ফরোয়ার্ডের শট জাল খুজে পায়নি। পরের মিনিটেই বল জালে জড়িয়েছিলেন এমবাপ্পে কিন্তু অফসাইডে তা বাতিল হয়। ম্যাচ তখন নির্ধারিত নব্বই মিনিট শেষ, যোগ করা তিন মিনিট চলছে। ঠিক তখনি পিএসজিকে স্বস্তি এনে দেন সেই কিলিয়ান এমবাপ্পে। দারুণ এক কাউন্টার আক্রমণে উঠে পিএসজি। মাউরো ইকার্দি বল বাড়িয়ে দেন মেসির উদ্দেশ্যে, বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে খানিকটা এগিয়ে গিয়ে এমবাপ্পের দিকে ঠেলে দেন তিনি। বক্সের ভেতর থেকে বাঁকানো শটে দূরের পোস্টে লক্ষ্যভেদ করেন এই ফরাসি। গোল করে যেন পুরো ম্যাচে সুযোগ নষ্ট করার শাপমোচন করলেন এমবাপ্পে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট