ফেসবুক লাইভে এসে নিজের লাইসেন্স করা পিস্তলের গুলিতে আত্মহত্যা করা মহসিন খান জানান দিয়ে গিয়েছিলে আমরা মানসিক দারিদ্র্যতার কতটা তলানিতে আছি। আজ আবার রংপুরের যুবক রনি ফেসবুক লাইভে এসে বিষপানে আত্মহত্যা সচেতন মহলকে নিশ্চয়ই ভাবিয়ে তুলেছে।
বাংলাদেশে সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে দারিদ্র্য বিমোচন নিয়ে যে কাজ করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ আর্থিক দিকেই গুরুত্ব দিয়ে। কিন্তু দারিদ্র্যতা যে শুধু আর্থিক না মানসিক দারিদ্র্যতা যে কত ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতে যাচেছ তা এই দুই ঘটনা থেকে ঈঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
বাংলাদেশে আত্মহত্যার প্রবনতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এসব আত্মহত্যা কারণ খতিয়ে দেখতে গেলে দেখা যাবে এর পিছনে যতটা না আর্থিক কারণ, মানসিক কারণ তারচেয়ে বহুগুন বেশি। মহসিন খানের অর্থ-বিত্তের কোন কমতি ছিলোনা, রনিরও আর্থিক অবস্থা যে একেবারেই খারাপ তা মনে হয় না। অর্থের চেয়ে তারা মানসিক দারিদ্র্যতায় ভুগছিলো বলেই প্রতিয়মান হয়েছে।
বেসরকারি কিছু সংস্থা ইতিমধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ শুরু করেলেও তা উল্লেখ করার মত নয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে প্রতিটি স্তরে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে এখনই কাজ শুরু করা ভীষণ প্রয়োজন হয়ে দেখা দিয়েছে।
সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে মানসিক দারিদ্র্যতা বিমোচনে এখনই যদি যথাপোযুক্ত কর্মসূচী প্রণয়ন করা না হয় তবে মহসিন খান এবং রনিদের দেখানো পথে অনেকেই হাঁটতে পারে বলে মনে হচেছ। এবিষয়ে বিশেষজ্ঞরা দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন বলে সচেতন মহল আশা করেন।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট