খোলা বাজারে প্রিপেইড মিটার সরবরাহের জন্য ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) বেসরকারি কোম্পানি যমুনা মিটার ইন্ডাস্ট্রিকে অনুমতি দিয়েছে। প্রতিটি সিঙ্গেল ফেজ মিটারের দাম হবে চার হাজার ৬০০ টাকা।এখন থেকে ঢাকার গ্রাহকরা এখন থেকে খোলা বাজার থেকে প্রি পেইড মিটার কিনতে পারবেন।
রোববার ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান অনুমতিপত্রটি যমুনা মিটারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম ভূঁইয়ার কাছে হস্তান্তর করেছেন। বিদ্যুৎ ভবনে ডিপিডিসির কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে ডিপিডিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে আবুল কালাম ভূঁইয়া বলেন, ২০২০ সালের মার্চ থেকে তারা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) গ্রাহকদের প্রিপেইড মিটার সরবরাহ করছেন। এ পর্যন্ত ৭০ হাজার মিটার সরবরাহ করা হয়েছে। পিডিবির মিটারগুলোর দাম পড়ছে ৫৫০০ টাকা।
খোলা বাজারে মিটার বিতরণ কোম্পানিগুলোর টেণ্ডারে কেনা মিটারের চেয়ে কম। টেন্ডারে কেনা সিঙ্গেল ফেজ মিটারের দাম ৭০০ টাকা থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়।
এদিকে রোববার ডিপিডিসি ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। জমির দলিলের সঠিকতা যাচাইয়ের বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার ও উন্নত গ্রাহক সেবা নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে একধাপ এগিয়ে গেল ডিপিডিসি।
এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় ডিপিডিসি বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের ক্ষেত্রে ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রস্তুতকৃত ডেটাবেইজ থেকে এপিআইয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদনকৃত জমির দলিল ও নামজারির সঠিকতা এবং জমির মালিকের নাম, মিউটেশনের কেস নম্বর, মিউটেশনের বছর, মৌজা, খতিয়ান, দাগ নম্বর, খাজনা প্রভৃতি সম্পর্কিত তথ্য যাচাই করতে পারবে। ভূমি মন্ত্রণালয় ডিপিডিসির ডেটাবেইজ থেকে গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগের ধরন সম্পর্কিত তথ্য জানতে পারবে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে অতিরিক্ত সচিব (মাঠ প্রশাসন) প্রদীপ কুমার দাস এবং ডিপিডিসির পক্ষে কোম্পানি সচিব মো. আসাদুজ্জামান সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। এ সময় ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ানসহ ভূমি মন্ত্রণালয় ও ডিপিডিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট