সেন্টমার্টিন দ্বীপের জীব-বৈচিত্র্যের অন্যতমপ্রধান স্থান ছেঁড়াদ্বীপের সাথে অবশেষে নৌযোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দ্বীপ ভ্রমণকারীদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্য প্রবাল, ঝিনুক, সামুদ্রিক নানা প্রজাতির মাছসহ অন্যান্য জীববৈচিত্র্যে ভরপুর ছেঁড়াদ্বীপটি। দ্বীপের নৌঘাট থেকে প্রতিদিন শত শত পর্যটকে গিজগিজ করে ছেঁড়াদ্বীপে।
গতকাল রবিবার একরকম পর্যটকবিহীন ছিল সেই স্বপ্নের ছেঁড়াদ্বীপ।
ভ্রমণকারীদের বেশিরভাগই প্রবাল সমৃদ্ধ স্বচ্ছ নীলপানির ছেঁড়াদ্বীপে একবার হলেও পা ভেজাতে চান। এ কারণে দীর্ঘদিন ধরে শত শত পর্যটকের আনাগোনা রয়েছে দ্বীপটিতে। পরিবেশবাদীদের মতে, প্রতিদিন ব্যাপক সংখ্যক পর্যটকের যত্রতত্র ছেঁড়াদ্বীপটি ব্যবহারের ফলে ইতিমধ্যে সেখানকার জীব-বৈচিত্র্যের ক্ষতি হয়েছে।
ময়লা-আবর্জনায় দূষণের শিকার হয়েছে সেখানকার পরিবেশ। এমন ক্ষতিকর পরিস্থিতি থেকে রক্ষার জন্য আরো অনেক আগে থেকেই ছেঁড়াদ্বীপকে পর্যটকের আনাগোনা থেকে নিয়ন্ত্রণ করার দাবি ছিল পরিবেশবাদীদের। কিন্তু সেটা বাস্তবায়ন করা হয়নি। সেন্টমার্টিনে কর্মরত পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশ অক্ষুন্ন রাখার জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ছেঁড়াদ্বীপের জীব-বৈচিত্র্য এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ অক্ষুন্ন রাখার জন্য পর্যটকের আনাগোনা নিয়ন্ত্রণকরার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
তিনি জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদা পারভীনসহ পরিবেশকর্মীরা গতকাল সকালে সেন্টমার্টিন দ্বীপের জেটিঘাটে গিয়ে ছেঁড়াদ্বীপের নৌযান বন্ধ করার কথা জানানোর সাথে সাথেই নৌযানের মালিক ও কর্মচারিরা তাতে সম্মতি জানান। দ্বীপের নৌযান মালিক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম গতকাল সন্ধ্যায় জানান, সেন্টমার্টিন দ্বীপটি বাঁচলেই আমরা দ্বীপের বাসিন্দারা বাঁচবো। সরকার দ্বীপের পরিবেশ রক্ষায় যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে আমরা তাতে সহমত প্রকাশ করছি।
তিনি জানান, সেন্টমার্টিন দ্বীপের জেটিঘাট থেকে ৮ কিলোমিটার দূরের ছেঁড়াদ্বীপে যাতায়াতের জন্য শতাধিক নৌযান রয়েছে। স্পিডবোট, লাইফ বোট ও কাঠের এসব নৌযানগুলো নিষেধাজ্ঞার কারণে গতকাল রবিবার থেকে ছেঁড়াদ্বীপে যাতায়াত করবে না।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট