1. fauzursabit135@gmail.com : Fauzur Rahman Sabit : Fauzur Rahman Sabit
  2. sizulislam7@gmail.com : sizul islam : sizul islam
  3. mridha841@gmail.com : Sohel Khan : Sohel Khan
  4. multicare.net@gmail.com : অদেখা বিশ্ব :
বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :

বয়স তাদের পিছু ফেলতে পারেনি নির্বাচনে বিজয়ী দুজনই

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউপি নির্বাচনে বিজয়ী মেম্বার আব্দুস সোবহান আমীন ৬৭ (বামে) এবং মো. হাসিম উদ্দিন ব্যাপারী ৬৫ (ডানে)

বয়সের কাছে হার মানেননি তারা। প্রবল ইচ্ছা শক্তি নিয়ে নির্বাচনে বিজয়ী ৬৮ বছর বয়সী আব্দুস সোবহান আমীন এবং ৬৫ পার করা মো. হাসিম উদ্দিন ব্যাপারী। অপেক্ষাকৃত তরুণ প্রতিদ্বন্দীকে হারিয়ে বৃদ্ধদের এই জয় নিয়ে এলাকার লোকজনকে এখন বলতে শোনা যাচ্ছে ‘পুরান চাল ভাতে বাড়ে’।

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় সদ্যসমাপ্ত শেষ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ওই দুজন এক ইউনিয়ন থেকে আলাদা দুইটি ওয়ার্ডে মেম্বার নির্বাচিত হয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন। এখন প্রায় প্রতিদিন স্থানীয় বাজার এমনকি বাড়িতে গিয়ে এলাকাবাসীরা বরের পাগড়ি মাথায় দিয়ে ফুলের মালা গলায় পরিয়ে আনন্দ করছেন। এই ধরনের ছবি এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরছে।

জানা গেছে, উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে অন্য আরও দুজনের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আব্দুস সোবাহান আমীন। তিনি এর আগেও এ ওয়ার্ডে একবার মেম্বার ছিলেন। গত ৭ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে তিনি ফুটবল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। প্রতিদ্বন্দ্বীদের বয়স তার অর্ধেকেরও কম হবে। এছাড়াও কম বয়সী প্রার্থীরা দেদারছে টাকা খরচ করেছেন। ৩ হাজার ১০০ ভোটের মধ্যে তিনি পেয়েছেন ১১শ ২১ ভোট। আমীন বলেন, এর আগে নির্বাচিত হয়ে আমি মানুষের জন্য কাজ করেছি। অন্যদিকে, নির্বাচন না করেও এলাকার বিবাদমান জমির মাপ-জোকের কাজ করেছি স্বচ্ছভাবে। এতে অনেকের উপকার হয়েছে। ফলে মানুষ আমাকে ভুলে যায়নি। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে আবারও মানুষের সেবা করতে চাই। এখান থেকে সেবা করা খুবই সহজ। এর জন্য মন-মানসিকতা দরকার।

অপরদিকে, একই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত হয়েছেন মো. হাসিম উদ্দিন। এর আগে আরও তিনবার নির্বাচন করেছেন। প্রত্যেকবারই টাকার কাছে হেরে গেছি সামান্য ভোটের ব্যবধানে। এবার জীবনের শেষ প্রান্তে এসে জনগণের ভরসা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। আর এতেই বাজিমাত হয়েছে। তারা (ভোটার) আমাকে যে কথা দিয়েছিল তা রেখেছেন। শেষ বয়সে আমাকে তারা অসম্মান করেননি। ২ হাজার ৫শ ভোটের মধ্যে তারা আমাকে এক হাজারের ওপরে ভোট দিয়েছেন। আমিও এখন তাদের কথা রাখতে চেষ্টা করবো। মানুষের সেবা করে ঈমানের সাথে মরতে চাই।

এলাকার লোকজন জানান, তারা দুজনই অত্যন্ত ভালো চরিত্রের মানুষ। এর আগে ভোট দিয়ে যাদেরকে নির্বাচিত করা হয়েছিল তারা কথা দিয়ে কথা রাখেননি। এখন বিভিন্নভাবে যাচাই-বাছাই করে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন দুজনকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট

Theme Customized BY LatestNews