পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘প্রকল্পের অর্থ খরচ নিয়ে কিন্তু জনগণ খুবই সচেতন। জনগণের অর্থ সাবধানে খরচ করতে হবে। কোনোভাবেই যেন এ অর্থ অপচয় না হয়। ’
আজ মঙ্গলবার(১৫ ফেব্রুয়ারি) নগরীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) মাধ্যমে নির্বাচিত চলমান প্রকল্পের নিবিড় পরিবীক্ষণ ও সমাপ্ত প্রকল্পের প্রভাব মূল্যায়ন সংক্রান্ত ওরিয়েন্টশন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘পাবলিক খরচের বিষয়ে অনেক আগ্রহী। প্রকল্পে কে টাকা দিলো, কত সুদে দিলো, কেন দিলো এসব বিষয়ে সাধারণ মানুষ অনেক খবর রাখেন। আমাদের অহেতুক খরচ পরিহার করতে হবে। অপচয়ের বিষয়ে আমরা পরিবার থেকেও কিন্তু শিক্ষা নিয়ে থাকি। খাবার খাওয়ার সময় যেন খাবার অপচয় না হয়, টাকা যেন হিসাব করে করি খরচ করি এসব শিক্ষা পরিবার থেকে নিয়ে থাকি। এসব বিষয় আমাদের বর্তমান কর্মক্ষেত্রেও কাজে লাগানো যাবে। ’
আইএমইডি ও পরিসংখ্যান বিভাগের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আইএমইডি’র বিষয়েও মানুষের আগ্রহ আছে। কোন প্রকল্প কিভাবে মূল্যায়ন হলো তা মানুষ জানতে চায়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বিভাগ জনশুমারিসহ নানা শুমারি ও জরিপ করে থাকে। এসব জরিপের বিষয়ে মানুষ জানতে চায়। তাই কাজগুলো খুব মন দিয়ে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। ’
আইএমইডিকে উদ্দেশ্য করে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, ‘প্রকল্প ভিজিটের সময় স্বাধীন মতামত দিতে হবে যেন বস্তুনিষ্ঠ ফলাফল আসে। কারো চাপের কাছে নতি স্বীকার করা যাবে না। সরকার উন্নয়নমূলক কাজগুলোর প্রতি আন্তরিক। সেই জন্য সরকার তদারকি করতে চায়। যা দেশের মানুষের জন্য কল্যাণকর। সরকার আসলে উপলব্ধি করতে চায়, উন্নয়ন কাজগুলো মানুষের কতটুকু কাজে লাগছে না। ’
তিনি আরও বলেন, ‘রিচার্সের মূল উপাদান হচ্ছে ডাটা। এখানে আলোচনায় ডাটা নিয়ে খেলার কথা এসেছে। আসলে আমাদের ডাটা নিয়ে খেলা করা যাবে না। যেটা বস্তুনিষ্ঠ সেটাই প্রকাশ করতে হবে। ’
পরিকল্পনা বিভাগের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, আইএমইডি সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানসহ সংশ্লিষ্টরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট