১৪ ই ফেব্রুয়ারি বাঙালীর বসন্ত উৎসব এবং বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। দিনটি ঘিরে কতই না পরিকল্পনা থাকে বন্ধুদের। অনেকে প্রিয়জনকে নিয়ে ঘুরতে যান পার্ক কিংবা রেস্টুরেন্টে। গল্প, সেলফি কিংবা আড্ডায় কেটে যায় দিন। দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে থাকে আরও ব্যতিক্রমী আয়োজন। মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনের লক্ষ্যে প্রতিবছর যশোর পৌর পার্কে আয়োজন করা হয় ব্যতিক্রমী উৎসব। এবারও সেই আয়োজনের ব্যত্যয় ঘটেনি। ভালোবাসা দিবসের সকালে পৌর পার্কের খোলা আকাশের নিচে তাবু টাঙিয়ে আয়োজন করা হয় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী
যশোরে বসন্ত বরণ অনুষ্ঠানের সাথে ছিলো স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী। ছবি-কাজী আরিফ
থ্যালাসামিয়া রোগী ও মুমূর্ষু রোগীর জীবন বাঁচানোর জন্য এদিন সংগ্রহ করা হয় রক্ত। মানুষকে রক্তদানে উদ্বুব্ধ করার এই প্রয়াস এগিয়ে নিচ্ছে আহাদ রেড ক্রিসেন্ট রক্ত কেন্দ্র, সেই সাথে এবার সহযোগিতায় ছিলেন যশোর থ্যালাসেমিয়া সমিতি,
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আমার যশোর,যশোর, এবং উৎসব কম্পিউটার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট,যশোর।
বসন্ত উৎসব ও ভালোবাসা দিবসকে স্মরণীয় করে রাখতে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন অনেকে। প্রতিবছরের মতো এবারও অন্তত অর্ধ শতাধিক মানুষ রক্ত দান করেছেন
সোমবার সকাল ১০টায় শুরু হয় রক্তদান উৎসব। শুরুতেই রক্তদান উৎসবের উদ্বোধন করেন যশোর পৌরসভার মেয়র হায়দার গনী খাঁন পলাশ।
পৌর পার্কে খোলা আকাশের নিচে তাবু টাঙিয়ে অস্থায়ী ক্যাম্পে রক্তদান উৎসবের আয়োজন করা হয়। সারি সারি বেডে শুয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রক্তদান করেছেন বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ। রক্তদান উৎসব ঘিরে মিলন মেলায় পরিণত হয় পৌর পার্ক,
রক্তদানের পাশাপাশি আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, অনুষ্ঠানে স্থানীয় ও বিভিন্ন স্থান থেকে আগত শিল্পী বৃন্দের উপস্থিতিতে নাচ,বাংলা লোক গান ও বসন্তের গানের ঝংকারে যশোর পৌর পার্ক আনন্দ মূখর পরিবেশে হয়ে উঠে লোকারণ্যের অভায়ারন্য, শিশু থেকে শুরু করে দিনভর বিভিন্ন বয়সী মানুষের ভীড় ছিলো এখানে।