আমাদের সাধারণ জনগণকে প্রতিক্ষেত্রে আরও সচেতন হতে হবে। যেমন রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ, বাণিজ্য ঠিক তেমনি ধর্মীয় বিষয়েও জ্ঞান থাকা আবশ্যক হয়ে পড়েছে। অশিক্ষা এবং কুশিক্ষার জন্য জনগণ এক বিচ্ছিন্ন। ভুল, অপব্যাখ্যায় তারা গা ভাসিয়ে দিচ্ছে। ফলে দুর্নীতিবাজদের দুর্নীতি করা যতটা সহজ হচ্ছে। ঠিক এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সরকারও তার
একটা দেশের জনগণ কতটা সুশিক্ষিত,সচেতন,নীতিবান তার উপর ভিত্তি করে রাজনীতি চলে। আমাদের দেশের ভুলত্রুটিগু আড়াল করার সুযোগ পাচ্ছে। এমপি, মন্ত্রী, আমলা, রাজনীতিবিদদের কাছে এখন জগণের মূল্য কতটুকু তা নিশ্চয় বুঝতে কারো অসুবিধা হবার কথা নয়। সাধারণ জনগনের এই মূল্য ফিরে পেতে সচেতনতার কোন বিকল্প নেই। এ বিষয়ে সংক্ষিপ্ত হলেও ব্যাপক ঈঙ্গিত বহন করার মত কিছু কথা নিজের ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন প্রদীপ মন্ডল। তিনি লিখেছেন-
সরকার,রাজনৈতিক দলগুলি মনে করে আমরা বেকুব,মূর্খ,অসচেতন,কুশিক্ষিত,ধর্মান্ধ। ফলে তারা আমাদের ব্যবহার করে তাদের স্বার্থ হাসিল করে। তাই ভুল,মিথ্যা ইতিহাস রচনা করে; ধর্মের নামে হানাহানি,মিথ্যা,গুজবের ছড়াছড়ি।
আশার কথা অনেকে এখন সচেতন হচ্ছে। কারণ মিথ্যা,গুজব প্রমান করার তথ্য,মাধ্যম সকলের হাতে। যার প্রভাবে এখন অনেক কিছু থেকে জনগণ দূরে থাকে। ফলে কথায় কথায় হরতাল এখন যাদুঘরে,রাজনৈতিক কর্মসূচি মৃয়ম্রান।
আমাদের আরও সচেতন,নীতিবান হতে হবে। অনিয়ম,দূর্নিতী,অব্যবস্থাপনা,নাগরিক অধিকার প্রশ্নে সোচ্চার হতে হবে। জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তখন সরকার,রাজনৈতিক দলগুলি সকলকে মূল্যায়ন করবে। তখন আপনি প্রজা বা তাদের অপকর্মের ঢাল নয়,মালিক হবেন। তখন তারাও বাধ্য হবে জনগণের পক্ষে কর্মসূচি দিতে,নতুবা জনগণই তাদের আস্তাকুড়ে পাঠাবে।