ওদেরকে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত রেখে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া সম্ভব? মোটেও না। ওরা আমাদের সমাজেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ কিন্তু ওরা সুবিধাবঞ্চিত। শিক্ষার আলো ওদের ঘর পর্যন্ত পৌঁছায় না। কিন্তু ওদের রয়েছে শেখার প্রচণ্ড আগ্রহ। সুযোগ পেলে ওরাও হয়ে উঠবে সমাজের আলোকবর্তিকা কথাগুলো বলেছেন কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসর এস এম মনজুরুল হক ।
ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ণে ঠাঁই পাওয়া হতদরিদ্র পরিবারের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গৃহীত বিশেষ উদ্যোগ “ইউএনও’র পাঠশালা”। যেখানে দেখা গেছে নির্বাহী অফিসার এস এম মনজুরুল হক নিজেই সুবিধা বঞ্চিত এই শিশুদের ক্লাশ নিচ্ছেন। নেই কোন চেয়ার টেবিল, খোলা আকাশের নিচে মাদুর পেতে বসে আছে শিশুরা। নির্বাহী অফিসার যিনি আজকে এই শিশুদের শিক্ষক রূপে এসেছেন তার কথা মনোযোগ সহকারে শুনছেন। আজ “ইউএনও’র পাঠশালা” ছিলো চিওড়া আশ্রয়ণে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মনজুরুল হকের ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই পাঠশালা পরিচালিত হচ্ছে।পর্যায়ক্রমে উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাদেরও তিনি এই উদ্যোগের সাথে সম্পৃক্ত করবেন বলে জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মনজুরুল হক বলেন, পড়ালেখার প্রতি আশ্রয়ণের শিশুদের আগ্রহ দেখে আমি বিমোহিত। চৌদ্দগ্রামের প্রতিটি আশ্রয়ণে নিয়মিত এ পাঠশালা চলবে। আমাদের একটু যত্ন পেলে সুবিধাবঞ্চিত এ শিশুরা আর পিছিয়ে থাকবে না। তারা আমাদের সমাজের বোঝা না হয়ে রত্নে পরিণত হবে। শিক্ষা ও জ্ঞানের মশাল জ্বালিয়েই আমাদের সোনার বাংলা গড়তে হবে। সকলকে নিয়েই আমরা একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চাই। একজন শিক্ষকের সন্তান হিসেবে আমি শিক্ষার আলো ঘরে ঘরে জ্বালাতে চাই।
তিনি আরো বলেন, আশ্রয়ন প্রকল্পের এসব সুবিধা বঞ্জিত শিশুদের যদি শিক্ষার আওতায় আনা না যায় তবে আর একটু বড় হলেই তারা অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়তে পারে। মাদকের মত মরণ ব্যধিতে তারা আক্রান্ত হয়ে সমাজে জঞ্জাল রূপে অন্যায় ও অসামাজিক কাজে জড়িত হয়ে পরতে পারে।
আশ্রয়ন প্রকল্পের দরিদ্র মানুষদের ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো পৌঁছে দেয়া এবং সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা জীবন নিশ্চিত কল্পে ইউএনওর পাঠশালা পাঞ্জেরীর ভুমিকা পালন করবে বলে সচেতন মহল মনে করেন।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট