প্রাণঘাতী করোনার সংক্রমণ রোধে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে বিশেষ টিকা ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হবে। ওই দিন সারা দেশে এক কোটি টিকা দেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। এর পর থেকে করোনার দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ দেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হবে।
গতকাল মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় এ বি এম খুরশিদ আলম বলেন, ‘২৬ ফেব্রুয়ারির পর আর টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হবে না। এরপর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজ নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। ’
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে এক দিনে ৭৬ লাখ ডোজের বেশি টিকা দেওয়া হয়েছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যে জানা যায়, গত ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশে সব মিলিয়ে ২৭ কোটি ৬৭ লাখ ২৪ হাজার ৭২০ ডোজ টিকা এসেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, করোনা আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছে, তাদের বেশির ভাগই টিকা নেয়নি। যারা টিকা নিয়েছে, তাদের মধ্যে মৃত্যু ও হাসপাতালে ভর্তির হার কম। এ অবস্থায় আমরা সবাইকে করোনার টিকা নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। ’
গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি দেশে করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া শুরু হয়। দুই মাস পর ৮ এপ্রিল শুরু হয় দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কার্যক্রম। আর গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, গত সোমবার পর্যন্ত সারা দেশে করোনার টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে ১০ কোটি ৯ লাখ ১১ হাজারের বেশি মানুষ, যা দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬০ শতাংশ। এর মধ্যে সাত কোটি ১৪ লাখ ৭৫ হাজারের বেশি মানুষ দ্বিতীয় ডোজ ও ২৬ লাখ ৯৪ হাজারের বেশি মানুষ তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ পেয়েছে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট