পাবনার ঈশ্বরদীতে গ্রীল ভেঙ্গে চুরির হিড়িক পড়েছে। প্রায়ই কোন না কোন বাড়ীতে চুরি সংগঠিত হলেও কোন প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। পুলিশকে লিখিত জানালেও কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। কখনো গভীর রাতে আবার কখনো দিনে-দুপুরেও চুরি হচ্ছে। আবার সন্ধ্যাবেলায় চুরি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার দিন শেষে সন্ধ্যায় শহরের শেরশাহ রোডের বাসিন্দা পাকশী ইপিজেডের কর্মকর্তা শাহিনুর রহমানের বাড়ীতে চুরি হয়েছে। এ সময় শাহিনুর রহমানের স্ত্রী তার প্রতিবন্ধী ছেলেকে পাশের বাড়ীতে রেখে মার্কেটিং করতে যায়। মার্কেট থেকে ফিরে এসে দেখে জানালার গ্রীল ভেঙ্গে বেডরুমে প্রবেশ করে আলমারি থেকে চোরেরা স্বর্ণালংকারসহ নগদ অর্থ নিয়ে চম্পট দেয়।
শাহিনুর রহমানের স্ত্রী রাণী খাতুন জানান, একটি সংঘবদ্ধ চক্র বেশ কয়েকদিন থেকে তাকে ফলো করছিল। চুরির এই ঘটনার জন্য তাদেরকেই তিনি সন্দেহ করছেন। তবে তিনি তাদেরকে চিনেন না বলে জানান। অপরদিকে শহরের শেরশাহরোডের পূর্বদিকে অবস্তিত ব্যবসায়ি আবুল কালাম আজাদের বাড়ীতে গভীর রাতে চুরি হয়। রাত আনুমানিক তিনটার দিকে জানালার গ্রীল ভেঙ্গে তিনতলার বাসায় চোরেরা প্রবেশ করে স্বর্ণালঙ্কারসহ নগদ নব্বই হাজার টাকা নিয়ে যায়। এ সময় বাড়ীতে তিনি ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। তিনি এ সময় ঘুমিয়ে ছিলেন। কোন সাড়াশব্দ পাননি।
এভাবে প্রায়ই শহরের শেরশাহরোডে চুরি সংগঠিত হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ব্যাপারে ঈশ^রদী পৌরসভার মেয়র ইসাহক আলী মালিথার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করে পরে জানাবেন বলে জানান।
অপরদিকে থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি চুরির প্রবনতা কমাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের আরো সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, পাড়ায় মহল্লায় বিশেষ পাহারার ব্যবস্থা করতে হবে। একা পুলিশের পক্ষে সবকিছু সম্ভব নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট