করিমন বেওয়া
দ্বিতীয় পর্ব
হারাধন দাস ধুপছায়া গ্রামের পাকা রাস্তা ধরে টুকিটাকি কথা বলতে বলতে সক্রেপ্লেটোটল রবীরুল সিনাহ সাহেবকে সঙ্গ দিতে দিতে
আরজ আলী মাতব্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
হারাধনঃ সকিপকি সাব আফনে এতো সকাল সকাল কই থাইক্যা আইলেন?
সরসিনাহঃ আমি ঢাকা থেকে এলাম।আপনাদের গ্রামটা বেশ সুন্দর, কেমন যেন সবুজ শ্যামল মায়ার বাঁধন!
হারাধনঃ হ কতা ঠিক কইছেন। এই মায়ায় আমাগো বাইন্দা রাখছে। এক গেরামের পূর্ব পুরুষের ভিটামাটি আর অইলো গিয়া আসাদ ভাইয়ের মায়া!
হঠাৎ চোখ পরলো সরসিনাহ সাহেবের একটি সাইনবোর্ডের উপর, যার উপর লেখা মতিউল কাদের সমবায় খামার।
তিনি ভাবতে পারছেন না মতিউল কাদেরর নাম তিনি এখানে দেখবেন, বাংলার বীর সন্তানদের নাম
কোন এক গ্রামের সমবায় খামারের নাম হবে। কৌতুহল বাড়ছে তার।
সরসিনাহঃ কে বানিয়েছে এ খামার?
হারাধনঃ আর কেডায় আমাগো মসজিদের ইমাম
আসাদ ভাই।
সরসিনাহঃ আপনি জানেন তারা কে?
হারাধনঃ জানুম না আবার, তারা আছিল ঐ যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, গুলি কইরা অন্যায্যভাবে মাইরা হালাইছে তারারে, গুলিতে আরো আহত অইছিল হেদিন বলে, এ দুইজন মারা গেছে। একজন মতিউল ইসলাম আর একজন অইলো গিয়া মীর্জা কাদেরুল ইসলাম।
সরসিনাহর চোখের কোণে পানি জমে উঠলো, সে
মোটেও আশা করেনি এই গ্রামের মুদি দোকানদার তাকে মতিউল কাদেরের গল্প শোনাবে। তবুও মুখে
বেশ বেশ খুশি খুশি ভাব করে বললো,
সরসিনাহঃ আরে বাহ্! আপনি কত কিছু জানেন? আমি অবাক হচ্ছি এ গ্রামে এসে।
হারাধনঃ না জাইন্যা কি উফায় আছে, আমরারে রাউফুন বসুনিয়া সেবাকেন্দ্র আছে না তার মইদ্যে যে বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র আছে হেয়ানে ফারিয়া ম্যাম, রাইমা ম্যাম, প্রাইমারী স্কুলের হেড মাস্টার আর কহনো ইমাম আসাদ ভাই গল্প শোনায়, বড় আনন্দ ফাই আমরা, অল্ফ স্বল্ফ ভাল গল্ফ শুইনা।
সরসিনাহঃ কি বললেন রাউফুন বসুনিয়া সেবাকেন্দ্র? কে বানিয়েছেন এটা?
সরসিনাহ যেন তার নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না, বাংলাদেশের কোন গ্রামের মসজিদের ইমাম নিজের দেশের বীরদের প্রতি এতো শ্রদ্ধাপোষণ করেন – জীবনে এ প্রথম সে দেখলো।এ মানুষকে দেখার জন্য সে উদগ্রীব হয়ে গেলো।
রাস্তা ধরে সামনে যাচ্ছে তারা এমন সময় একটা
কোরাস গান – আ আ আ আ আ আ আ
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি, যেন তাদের দিকে আসছে, এমন সময় হারাধন বললোঃ সরসিনাহ সাব এক পাশে আইয়েন, আসাদ ইমাম ভাইয়ের প্রভাত ফেরীর মিছিল আইতাছে, আমনে যাইবেন, আমি শহীদরারে সম্মান জানাইয়া আই।
যদি ও সরসিনাহ ঢাকা থেকে বের হবার আগেই শহীদমিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান
জানিয়ে তারপর গাড়িতে উঠেছিল। তারপরও
গ্রামে সে কখনও প্রভাত ফেরী করে ২১শে ফেব্রুয়ারি পালন করেনি।পায়ের জুতো খুলে ব্যাগের সাইড পকেটে রাখলো।
প্রভাত ফেরীর মিছিল কাছে আসতেই সে অবাক হয়ে লক্ষ্য করলো প্রায় একশো জন পুরুষ নারী ও অন্য মানুষ, বিশেষ শিশুদের মিছিল, সবাই খালি পায়ে ফুল হাতে আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি গানটি করতে করতে সামনে যাচ্ছে।সে এবং হারাধন প্রভাত ফেরীতে যোগ দিল।
সে দেখলো কেবল তাদের দলটি নয়, তাদের পেছনে
আরো দুটো দল প্রভাত ফেরী করছে, অমর একুশে ফেব্রুয়ারির গানটি গেয়ে এগিয়ে আসছে, তাদের পরের দলটির সামনে সে ফারিয়া জামানকে দেখতে পেলো। সাদা কালো শাড়ি পরা প্রসাধনহীন এক মায়া ও দৃঢ় ব্যক্তিত্বের মানুষ, মনে হলো এই তো সেই
বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সাধারণের সমস্যার প্রতিবাদী আওয়াজ ফারিয়া যার স্বপ্ন ছিল সমাজে সবার অধিকার প্রতিষ্ঠা করা, যার স্বপ্ন ছিল একটি উন্নত সমাজব্যবস্হা প্রতিষ্ঠা করা যার জন্য সে ফিরিয়ে দেয় জীবনের উপরে যাবার সব প্রস্তাব তারপর কোথায় যেন হারিয়ে যায়।সপ্তাহ খানেক আগে সরসিনাহ পায় তার একটি চিঠি। কত দিন পর ফারিয়ার চিঠি! মনে আছে তাকে এখনো? কেনো রেখেছে মনে? কি চায় ফারিয়া এতোদিন পর? তাই অনেক জমানো না বলা কথার সমাধান পেতে সে আজ ফারিয়ার খোঁজে এই ধুপছায়া গ্রামে।সে যদিও ফারিয়াকে এভাবে দেখবে আশা করেনি, আর ফারিয়া সে তো জানেই না তারসামনের প্রভাত ফেরীতে কয়েক হাত দূরে সরসিনাহ তাদের গ্রামেই প্রভাত ফেরী করছে।
হারাধন ও সরসিনাহর প্রভাত ফেরীর মিছিলটি রাউফুন বসুনিয়া সেবাকেন্দ্র থেকে সামনে অগ্রসর হয়ে একপাশে মসজিদ তার উল্টোপাশে আরজ আলী মাতব্বর স্কুলের মাঠের একপাশে বানানো শহীদমিনারে শহীদদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা অর্পণ করার জন্য প্রস্তুত হলো, মাইকে ঘোষণা এলো
প্রথমে শহীদদের সম্মান জানানোর জন্য এগিয়ে আসছেন রাউফুন বসুনিয়া সেবাকেন্দ্র থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মসজিদের ইমাম শাফকাত আসাদ ও তারপর তারা একে একে শহীদদের সম্মান জানিয়ে সামনের দিক দিয়ে বের হবেন।
একজন সাদার উপর কালো বর্ণমালা লেখা পান্জাবী
পরা সাদা পাজামা পরা ষাটোর্ধ্ব লোক যাকে মনে হচ্ছে এক দীপ্তিময় মানুষ একটি বড় ফুলের তোড়া হাতে ধরে আছেন এক পাশ থেকে যার অন্য পাশ দিয়ে ধরা আরো কয়েকজন লোক যাদের ঐ সংস্হারই লোক মনে হচ্ছে তারা শহীদমিনারের কাছাকাছি যেতেই কয়েকটি মোটর সাইকেল সেখানে এসে থামলো।
মোটর সাইকেল থেকে নামলেন একজন পান চিবানো পুরুষ, স্বাস্হ্য ভাল, বেশ নাদুসনুদুস, মুখে সামান্য দাঁড়ি আছে, পরনে সাফারী স্যুট, পায়ে বুট, কয়েকজন মাস্তান গোছের মানুষ সাথে নিয়ে ( সবার পায়ে জুতো পরা) তাদের ও শহীদমিনারের সামনে দাঁড়ালো, বললো ইমাম সাব থামেন, আমরা আগে ফুল দিমু। ঐ মাইকে কে আছস, ঘোষণা দে চেয়ারম্যান মেম্বর আগে ফুল দিবো, আমরার ক্যামেরাম্যান কই? ফটো কইলাম বালা কইরা তুলবি, ফেইস বুকে দিতে অইবো। ঐ ফুল কই?
তাকে কোন দিক থেকেই একজন ভদ্রলোক মনে হচ্ছে না। মাইকে দাঁড়ানো লোকটি অসহায়ভাবে
দীপ্তিময় লোকটির দিকে তাকাচ্ছে, তিনি ইশারা করলেন, চেয়ারম্যানকে সুযোগ দিতে।
মাইকের লোকটি এবার ঘোষণা দিলেন প্রথমে বাঁশবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গফুর আলী ও মেম্বরগণ ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন, তারপর রাউফুন বসুনিয়া সেবাকেন্দ্র, তারপর আরজ আলী মাতব্বর উচ্চ বিদ্যালয় এবং তারপর
মাস্টারদা সূর্যসেন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এবার চেয়ারম্যান জুতো পায়ে শহীদমিনারের দিকে যাচ্ছেন দেখে এগিয়ে পথরোধ করলেন সেই দীপ্তিমান মানুষ, গুরুগম্ভীর গলায় বললেন, চেয়ারম্যান সাহেব দয়া করে জুতো খুলুন, আজকের দিনে আমি কিছুতেই আপনাদের জুতো পায়ে শহীদমিনারে উঠতে দেবো না। যথাযথ উপায়ে আপনারা খালি পায়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন, নয়তো আমি
মুক্তিযোদ্ধা শাফকাত আসাদ আপনাদের ফুল দিতে দেবো না।
নামটি শুনেই ঘাঁড় সামনে নিয়ে সরসিনাহ দেখার চেষ্টা করে মসজিদের ইমাম বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধা শাফকাত আসাদকে। তাই তো বলি, গ্রামের চারপাশের ছড়ানো মানবমুখী যুগোপযোগী বিজ্ঞানসম্মত ভাবনা কোন সাধারণ ইমামের হতে পারে না। ভেতরে ভেতরে এই অসাধারণ ব্যক্তিত্বের মানুষটিকে জানার এক অদম্য তাগিদ অনুভব করে
সরসিনাহ।ফারিয়ার সাথে দেখা করাও যেন এখন পরে হলেও চলবে। জানতে হবে, কাছে যেয়ে শ্রদ্ধা জানাতে হবে দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাকে।
চেয়ারম্যান গফুর আলী জানেন এ অঞ্চলের মানুষের মনে বাস করেন আসাদ ইমাম, তাকে চটিয়ে বিশেষ সুবিধাও করা যাবে না। তাই জুতো খুললো সে, তার দেখাদেখি মেম্বরগণ ও চেয়ারম্যানের বাকী সঙ্গীরা। তারা এবার শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে ওখানে ফটো তোলার পর্ব শেষ করে মোটর সাইকেলে চড়ে বিদায় নিলেন।
ততক্ষণে সালাম সালাম হাজার সালাম গানটি করতে করতে স্কুল ক্যাম্পাসে ঢুকলো আরজ আলী মাতব্বর উচ্চ বিদ্যালয়, তার পেছনে মাস্টারদা সূর্যসেন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এবার শহীদমিনারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করলেন রাউফুন বসুনিয়া সেবাকেন্দ্র থেকে মুক্তিযোদ্ধা শাফকাত আসাদ ও তার সংস্হারই অন্য সদস্যরা। এরপর ঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী তারা শহীদমিনারের বিপরীত পাশের গেট দিয়ে বেরিয়ে গেলেন। হারাধন দাস তাদের অনুসরণ করলো। সরসিনাহ তার পিছু নিল।
সরসিনাহ বেরিয়ে দেখলো, হারাধনের সাথে করমর্দন করছেন মুক্তিযোদ্ধা আসাদ সাহেব। জিজ্ঞেস করলেন, কেমন আছো হারাধন?
হারাধনঃ আসাদ ভাই বালা।হারাধন দেখলো সরসিনাহ তার পাশে দাঁড়ানো।
আসাদ সরসিনাহর দিকে তাকিয়ে বললেন মুখে তার স্মিত হাসি, আপনি? নতুন বুঝি আমাদের গ্রামে, হাত করমর্দনের জন্য এগিয়ে দিয়ে বললেন, আমি শাফকাত আসাদ। আপনার নাম কি?
সরসিনাহঃ আমি সক্রেপ্লেটোটল রবীরুল সিনাহ।
সংক্ষেপে সরসিনাহ।
আসাদ সাহেবঃ মানে সক্রেটিস, প্লেটো, এরিস্টোটল, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এবং বহুবিদ্যাবিশারদ ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক ইবনে সিনাহর নামের
সংক্ষিপ্ত রূপ আপনার নাম। কি ঠিক বলেছি?
আসাদ সাহেবঃ কে রেখেছেন এতো সুন্দর নাম?
সরসিনাহঃ আমার বাবা মা। আপনার সাথে কথা বলতে পেরে খুব ভাল লাগছে।আমি এমন মসজিদের ইমাম আজ অব্দি দেখিনি।
তার জবাব শুনে হাহ্ হাহ্ করে হেসে উঠেন আসাদ সাহেব।
একটু দূরেই শাহাদত মোল্লাা একজন গ্রামবাসীকে সেলিম হককে বলছে, আরে ভাই শহীদমিনারে ফুল দেওয়া কবীরা
গুণাহ! তোমরা কি পূজা কর শহীদরারে? কবরে তারার আজাব অইবো মিঞা!
তার কথা শুনে গ্রামবাসী সেলিম ডাকলো আসাদ ইমামকে, বললো, ইমাম চাচা আমরা নাকি শহীদরারে পূজা করি কি কয় এসব শাহাদত মোল্লা।
মুক্তিযোদ্ধা শাফকাত আসাদ তার এলাকায় আসাদ ইমাম নামেই পরিচিত। তার বাবার শেষ ইচছা ছিল, তিনি তাদের পরিবারের বানানো মসজিদের ইমাম হবেন, এলাকায় থাকবেন, এখানকার অসহায় মানুষদের জন্য নতুন উন্নত সমাজ গড়বেন।বাবার শেষ অনুরোধ তিনি ফেলতে পারেননি।
আসাদ সাহেবঃ পূজা আর শ্রদ্ধা জানানো এক কথা নয় শাহাদত, তুমি যাওতো দেখো বাচ্চাদের ভাষা আন্দোলনের উপর রচনা লেখা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা কতদূর?
শাহাদত মোল্লাঃ মাইনষের ছবি আঁকা গুণাহ ইমাম সাব।কেন যে নিজে এইসব গুণাহর কাজে জড়িত!
আস্তাগফিরুল্লাহ!
আসাদ সাহেবঃ তুমি যাওতো! যা দিয়ে মানুষের কল্যাণ হয়, তা গুণাহ নয়। সে তুমি বুঝবে না। আমাদের বাচ্চাদের আরজ আলী মাতব্বর উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়ে যাও।
শাহাদত মোল্লার মা আসাদ সাহেবদের বাড়িতে কাজ করতেন, স্বামী মারা যাবার পর শাহাদতকে তিনি মাদ্রাসায় পাঠান, যখন আসাদ সাহেব গ্রামে এলেন আসাদ সাহেবের বাবা শরাফত আসাদ সাহেব শাহাদত মোল্লাকে তাদের মসজিদের সহকারী ও সার্বক্ষণিক ইমামের দায়িত্ব দেন আজ থেকে ২৫ বছর আগের কথা।
এবার সরসিনাহর দিকে তাকালো বললোঃ আমাকে যেতে হবে, আপনি কোথায় যাবেন মানে কার বাড়িতে যাবেন?
পাশে দাঁড়ানো হারাধন বললো, ফারিয়া ম্যাডামের লগে দেখা করবো।
আসাদ সাহেবঃ আচ্ছা তো আপনি আমাদের অতিথি। নাশ্তা করবেন চলুন।
আসাদ সাহেবঃ আমাদের এলাকার সব প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী মিলে আজ অমর একুশে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা এবং শহীদ দিবস উপলক্ষে চিত্রাংকন, রচনা প্রতিযোগিতা ও বিকেলে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। আপনি থাকলে খুশী হবো। রাতে থাকার ব্যবস্হা হবে, চিন্তা করবেন না – আমার বাড়ীর আপনি আজ অতিথি। আমি আসি।হারাধন নিয়ে যাও উনাকে ফারিয়া ম্যামের কাছে।আচ্ছা দেখা হবে, যান আপনি।
বিদায় জানিয়ে সরসিনাহ হারাধনের সাথে ফারিয়া ম্যামের সাথে
দেখা করার জন্য আবার স্কুলের দিকে হাঁটা দেয়। সরসিনাহ ভাবে একটি অজ পাড়ার গাঁয়ে এমন করে একুশে ফেব্রুয়ারী উদযাপন ভাবা যায়। মনটা কেমন অনাবিল আনন্দে ভরে যাচ্ছে। হবেই না কেনো যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সারির ছাত্রী ফারিয়া ও মুক্তিযাদ্ধা শাফকাত আসাদ ( ইমাম) আছেন। তার মন গেয়ে উঠলো গ্রামের মুক্ত বাতাসের পরশে
– আমি বাংলায় গান গাই, আমি বাংলার গান গাই,
আমি আমার আমিকে চিরদিন এই বাংলায় খুঁজে পাই
আমি বাংলায় দেখি স্বপ্ন…………………
(চলবে)
(লেখকঃ শামসুন নাহার, প্রবাসী, সাস্কাটুন, সাস্কাচোয়ান, কানাডা)