বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংঘবব্ধ ধর্ষণের ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করেছে গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। আটকরা সবাই গোপালগঞ্জের স্থানীয় যুবক।
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় তদন্তের স্বার্থে আটকদের নাম পরে জানানো হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বশেমুরবিপ্রবি প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান। এর আগে বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে এক শিক্ষার্থী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
এদিকে ধর্ষকদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বশেমুরবিপ্রবি ক্যাম্পাস থেকে হেঁটে বিক্ষুব্ধ প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী গোপালগঞ্জ সদর থানায় অবস্থান এবং ধর্ষকদের বিচার চেয়ে ৩ দফা দাবি ও অপরাধী শনাক্তে আল্টিমেটাম প্রদান করেন।
জানা গেছে, গণধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থী তার বন্ধুর সঙ্গে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নবীনবাগ নামক স্থানের হেলিপ্যাডের সামনে থেকে হেঁটে আসছিলেন। পথিমধ্যে এক অটোরিকশা থেকে তাদের তুলে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ৭/৮ জন মিলে তাদের গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন স্কুল ও কলেজের নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যায়। পরে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে থাকা তার সহপাঠীকে মারধর এবং ওই শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণ করে তারা। ওই শিক্ষার্থীকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাজিউর রহমান বলেন, এ খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেছি এবং আমি নিজে এ ঘটনায় বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেছি।
গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ অ্যান্ড অপারেশন) নিহাদ আদনান তাহিয়ান বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে অভিযান চালানো হয়েছে। আমাদের টিম ইতোমধ্যে অভিযান শুরু করেছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হব।
এদিকে আল্টিমেটামে আজ ভোর ৬টার মধ্যে অপরাধীকে শনাক্ত করার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে ধর্ষকদের গ্রেফতার ও উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার পর থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জস্থ ঘোনাপাড়া নামক স্থানে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে অবরোধ পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট