রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ সার্চ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে শনিবার সিইসি ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়েছেন। তাদের নিয়োগের ব্যাপারে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগ। একই সাথে নেতৃবৃন্দ অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সকলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন উপহার দিতে নতুন ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন।
এতে সাবেক সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল পরবর্তী প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। তার সঙ্গে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করবেন চারজন। তারা হলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান।
নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ বলেন, ‘নতুন নির্বাচন কমিশনার একজন ভালো মানুষ হিসেবে আমাদের কাছে পরিচিত। তার দায়িত্ব হচ্ছে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা। এই ব্যাপারে আমরা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব তিনি যেভাবে চান। আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আগামী নির্বাচন যাতে সকলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে হয়। ‘
দলের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেবে। একই সঙ্গে তারা তাদের দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবে। দেশবাসী যাতে তাদের ওপর আস্থা রাখতে পারে, এটাই তাদের প্রত্যাশা।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘নতুন ইসির মূল দায়িত্ব হচ্ছে আগামী জাতীয় নির্বাচনসহ সকল নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করা। নতুন ইসিতে যারা দায়িত্ব পেয়েছেন কর্মজীবনে প্রত্যেকেই অত্যন্ত দক্ষতা, সততা এবং যোগ্যতার সাথে কাজ করেছেন। আমাদের প্রত্যাশা, তারা অতীতে যে যোগ্যতা-দক্ষতা দেখিয়েছেন, ঠিক সেইভাবে দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করবেন। ‘
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট