রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড হয়ে বছিলার দিকে যেতে চার রাস্তা মোড় এলাকা, শিয়া মসজিদের মোড়, জিগাতলা বাস স্ট্যান্ড টিসিবির ট্রাক। এসব এলাকায় মানুষের জটলা। সবাই সাশ্রয়ী দামে ভোগ্য পণ্য কিনতে মরিয়া। অনেক নারী অসহায় চোখে দাঁড়িয়ে দেখছেন সন্তান কোলে।
দুপুর সাড়ে ১২টার আগেই সয়াবিন শেষ। সামান্য কিছু পেঁয়াজ ও মসুরের ডাল ছিল ট্রাকে, তা নিয়েই চলছিল কাড়াকাড়ি। টিসিবির ট্রাকের পেছনে দীর্ঘ সারি। সকাল থেকে শুরু হয় পণ্য বিক্রি। কিন্তু সারি ছোট হয় না। এর বেশির ভাগই নারী।
অবশ্য জাতীয় প্রেস ক্লাব ও সচিবালয়ের মধ্যবর্তী সড়কে টিসিবির ট্রাকের পেছনে দাঁড়ানো ব্যক্তিদের বেশির ভাগই পুরুষ। গাড়ির চালকরা রাস্তার দুই পাশে গাড়ি রেখে ট্রাকের পেছনে দাঁড়িয়ে যান।
নিম্ন আয়ের এসব মানুষ বলেন, করোনার পর থেকে আয় কমেছে। তাই মাছ-মাংস খাওয়ার সুযোগ নেই। তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় সবজিও রান্না করতে পারেন না। ভর্তা-ভাত খেয়ে দিন কাটে। তার অভিযোগ, অনেকেই প্রতিদিন আগে এসে তেল কিনে নিয়ে চলে যায়।
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন টিসিবি ডিলারের বিক্রয়কর্মীরা বলেন, ‘আমরা নির্ধারিত সংখ্যক ব্যক্তির কাছে পণ্য বিক্রি করে থাকি। কিন্তু কেউ প্রতিদিন কিনছে কি না, বলতে পারব না। তবে এক দিনে কেউ যাতে একাধিকবার নিতে না পারে, সে বিষয়ে আমরা সতর্ক আছি। ’ তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে যে পণ্য থাকে, তা প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০ মানুষকে দিতে পারি। কিন্তু লাইন ধরে ৪০০ থেকে ৫০০ মানুষ। ’
এ বিষয়ে ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যেখানে টিসিবির ট্রাক, যতক্ষণ ট্রাকে মালপত্র থাকে, আমরা মানুষকে দিই। মান ভালো ও দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় টিসিবি পণ্যের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। ’
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট