সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানহানিকর কনটেন্টের প্রচার-প্রকাশ নিয়ন্ত্রণে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় সে বিষয়ে সুপারিশ পেতে একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষযক সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যানের সাথে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সংবাদ পত্র অ্যাসোসিয়েশন ও টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর একজন করে প্রতিনিধি কমিটিতে রাখতে বলা হয়েছে। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে এ কমিটিকে প্রতিবেদন আকারে সুপারিশ দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার রুলসহ এ আদেশ দেন বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
জনস্বার্থে রিট অবেদনটি করেছেন বেসরকারি টিভি চ্যানেল দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ হাসান। তার পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘রুল ও কমিটির গঠনের পাশাপাশি আদালত আরেকটি নির্দেশনা দিয়েছেন। ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশের সাধারণ নাগরিক ও পদস্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে মানহানিকর যেসব বক্তব্য, মন্তব্য প্রচার-প্রকাশ করা হয়, সেগুলো নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিতে রিটকারী গত ৬ মার্চ বিবাদিদের কাছে যে আবেদন করেছিলেন, সেটি ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করে আদালতে হলফনামাও দাখিল করতে বলা হয়েছে। ’
ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশের নাগরিক নিয়ে মানহানিকর কনটেন্ট প্রচার-প্রকাশ নিয়ন্ত্রণে কার্যদকর পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষযক সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যানের সাথে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)’র চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট