আমি নামাজ না পড়লে পর্দা না করলে আমি দোযখে জ্বলবো তাইতো রেডী আমি দোজখে জ্বলার জন্য কিন্তু আপনাদের কে দায়িত্ব দিলো নিরীহ মানুষদের নামাজ না পড়লে হিংস্রভাবে আক্রমণ করার। আমি দোয়া করি আপনার দোজাহান সুন্দর হোক। আমিন। আপনার বিশ্বাস অনুযায়ী আমার কেবল দুনিয়া সুন্দর আর আখেরাত অনন্ত আগুন হোক না সেটা, আমার দুনিয়ার শান্তি বিঘ্নিত করার আপনি কোন মধ্যযুগীয় বর্বর, কে আপনাকে আমার আর আল্লাহর মাঝে ঠিকাদার / দালাল বানিয়েছে? কেন ধর্মের নামে আগ্রাসন, কেন নামাজ না পড়ায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষ, পদার্থ বিজ্ঞানের ছাত্র সাফফাত নায়েম নাফিকে আপনার ছুরিকাঘাত করতে হবে? এই আপনার ধার্মিক আচরণ? আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাই, হিংস্র পশু আপনারা, এটা আপনাদের জিদ মোটেও ইবাদত নয়।
যে মানুষ আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে চায় সে কখনও কারো প্রতি সহিংস হতে পারে না।
আজ এদেশের প্রত্যেক শিক্ষিত, আল্লাহকে যে সত্যিকার অর্থে ভালোবাসে, যারা আল্লাহর সৃষ্টিকে ভালোবাসে, যারা মনে করেন, প্রতিটি মানুষের অধিকার আছে তার মতো করে এ ভুবনে
বাঁচবার দয়া করে আপনারা জেগে উঠুন, এতো অন্যায়
দয়া করে মাথা পেতে নেবেন না। এ সমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে আপনিই বাঁচাতে পারেন। নয়তো দেরী নেই আজ নাফি তো কাল অন্য কেউ।
বুয়েটে এক ছাত্রকে পঁচিশজন মিলে হত্যা করলো কেন সে নামাজ পড়তে আহবান করছে বা জামাত করছে? আর আজ কেন একজন নামাজ পড়ছে না?
আপনাদের সবাই হিংস্র পশু, মানবিকতা আপনাদের মাঝে নেই। কেউ নামাজ পড়তে বললে যেমন অপরাধ নেই, তেমনি কেউ নামাজ না পড়লেও এ দুনিয়ার আইন অনুযায়ী কোন অপরাধ নেই। কেন জবরদস্তি? কেন এমন হিংস্র আচরণ?
আপনার নামাজ পড়তে ভাল লাগে, আপনার পবিত্র কোরআনের তিলোয়াত শুনতে ভাল লাগে, ভালো কথা করুন, কিন্তু আমার রবীন্দ্র সংগীত ভাল লাগে, নজরুলের গাহি সাম্যের গান পড়তে ভাল লাগে, এতে আমি কোন দেশের আইনতো ভাঙ্গিনি। তবে কেন আপনার এ আগ্রাসী আচরণ? কেন আমাকে আপনার মতো হতে হবে? কেন আমি আমার মতো করে আমার যে কাজে মনে শান্তি আসে অন্য মানুষের শান্তি বিঘ্নিত না করে কেন আমি তা করতে পারবো না?
আল্লাহর আলো বাতাসে দিতে তো আল্লাহ কোন জুলুম করেন না, তবে আপনারা কেন এমন করেন? কবে আপনারা আমাদের
আমাদের মতো করে আল্লাহর মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে দেবেন?
মানুষকে দমন করা যাবে না, শরীর দমন করবেন, মন তো মুক্ত,
ওখানে আপনার পাশবিক আচরণকে আমি চিরকাল ঘেন্না করবো, তীব্র প্রতিবাদ জানাবো আপনার অন্যায়, জবরদস্তিমূলক আচরণের বিরুদ্ধে, চিৎকার করে বলবো, জাগো মানুষ জাগো, চুরমার করো সব পশুদের আস্তানা, বানাও মানুষের জন্য মানব সমাজ, স্বস্তি পাক মানুষ, শান্তিতে থাকুক, স্বাধীনভাবে বেঁচে থাক মানুষ, বিকশিত হউক মানবতা, টিকে থাকুক মানুষে মানুষে মানবতা।
উল্লেখ্য যে, বাধ্যতামূলক মসজিদে গিয়ে নামাজ না পড়ায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করা হয়েছে। বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন ধরমপুরের ‘এন.আর ছাত্রাবাসে’ ঘটনাটি ঘটে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার একপা অবশ হয়ে যায় আহত শিক্ষার্থীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ছুরিকাঘাতের শিকার সাফফাত নায়েম নাফি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায়। তাকে আহত অবস্থায় রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
নাফি যে মেসটিতে থাকতেন সেখানে নামাজ বাধ্যতামূলক ছিল। নাফির বন্ধুর সাথে মসজিদে গিয়ে নামাজ না পড়া থেকে ঝামেলার সূত্রপাত হয়।
তৈরি থাকো বাংলাদেশ! আঁধার রাতের হাতছানি! হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান তো পরের কথা মুসলিম হলেও রক্ষা পাবেনা। নামাজ এখানে না ওখানে, দাড়ি এভাবে না সেভাবে, পায়জামা এখানে নয় সেখানে, মুতু এভাবে নয় সেভাবে, সহবাস এখন নয় তখন, গোসল এখন নয় তখন, হাগতে গিয়ে মোতা বা পাদা মানা, এটা বলা যাবেনা, ওটা দেখা যাবেনা, ওটা দেখা হারাম, ওটা নাড়াচাড়া হারাম, এটা আরাম ইত্যাদি ইত্যাদি সব শান্তি আর শান্তিতে ভরপুর হবে দেশ।