স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে আগামী ২৩ ও ২৪ মার্চ ঢাকায় ‘মুক্তিযুদ্ধের বইমেলা ও চিত্র প্রদর্শনী’র আয়োজন করবে বিএনপি।

শুক্রবার (১৮ মার্চ) সকালে নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাধীনতা সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে গঠিত ‘সাজসজ্জা, মুক্তিযুদ্ধের বইমেলা ও চিত্র প্রদর্শনী কমিটি-্এর আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

এই কর্মসূচি হবে জাতীয় প্রেস ক্লাবে। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টায় থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।

বিকাল ৫টা থেকে শুরু হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

বই মেলা ও চিত্র প্রদর্শনীতে বিশিষ্ট লেখকদের মুক্তিযুদ্ধ, রাজনীতি, গবেষণা, গল্প, কবিতা, উপন্যাস ও বিশ্লেষণধর্মী বই ও আলোকচিত্র শিল্পীদের ক্যামেরাবন্দি আলোকচিত্র, চারু শিল্পীদের রং তুলিতে আঁকা চিত্র স্থান পাবে।

২৩ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে মুুক্তিযুদ্ধের বইমেলা ও চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ও স্বাধীনতা সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে জাতীয় কমিটির আহবায়ক খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

পরদিন ২৪ মার্চ বিকাল তিনটায় সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘প্রায় এক বছর আগে ৫০ বছরপূর্তির শুরুতে এই কমিটি কাজ শুরু করে এবং আগামী ২৬ তারিখ তা শেষ হবে। সারা দেশে এই কমিটি ব্যাপক কর্মসূচি শুরু করেছে। তারই অংশ হিসেবে স্বাধীনতা সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে রাজধানীতে আমাদের কমিটি দুইদিনের কর্মসূচি গ্রহন করেছে।

‘এমন একটি সময় আমরা স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করছি যখন বাংলাদেশের মানুষ দিশেহারা, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নাভিশ্বাস উঠেছে। বাজারে গিয়ে মানুষজন যে জিনিস-পত্র ক্রয় করবে তা তাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। দেশ দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে, দেশে আইনের শাসন নেই। দেশে বিচার ব্যবস্থা নেই। চলছে দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা, চলছে মানুষের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন। তাই আজকে স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীতে আমাদের প্রত্যয় হবে আগামীতে আমরা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করবো ইনশাল্লাহ। ”

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, নাজিম উদ্দিন আলম, আহসানউল্লাহ চৌধুরী, হাসান চৌধুরী, কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু, আবদুল মতিন, দুলাল হোসেনসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।