একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী মামলায় সাতক্ষীরার জামায়াত নেতা সাবেক এমপি আব্দুল খালেক মণ্ডল ও খান রোকনুজ্জামানের মামলার রায় আগামী বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) দেওয়া হবে। আজ মঙ্গলবার (২২ মার্চ) মামলাটি কার্যতালিকায় আসলে চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক আপরাধ ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণার এ দিন ধার্য করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলা পরিচালনা করেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন। খালেক মণ্ডলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার ও রাষ্ট্র নিয়োজিত আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম।
প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন বলেন, ‘আজকে মামলাটি কজ লিস্টে ছিল। এ মামলার রায়ের জন্য আগামী বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) ধার্য করেছেন আদালত। ’
এর আগে গত ১১ নভেম্বর এ মামলায় প্রসিকিউশন ও আসামিক্ষের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষ হলে ট্রাইব্যুনাল বলেছিলেন, যেকোনোদিন মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।
২০১৫ সালের এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয় ২০১৮ সালের ৫ মার্চ। মামলার চার আসামির মধ্যে আব্দুল্লাহ আল বাকী এবং জহিরুল ইসলাম ওরফে টিক্কা খান নামের দুই আসামি বিচারাধীন অবস্থায় মারা যান। বাকি দুই আসামির মধ্যে সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমির ও সাতক্ষীরা সদর আসনের সাবেক এমপি আব্দুল খালেক মণ্ডলকে তদন্তের সময় গ্রেপ্তার করা হয়। আর খান রোকনুজ্জামান এখনও পলাতক।
মুক্তিযুদ্ধের সময় সাতক্ষীরা এলাকায় হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ ও আটকে রেখে নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ছয়টি অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে। চূড়ান্ত যুক্তিতর্কে প্রসিকিউশন দুই আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চেয়েছে। আর আসামি পক্ষ অভিযোগ থেকে আসামিদের খালাস চেয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ৫ ব্যক্তিকে জবাই ও বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যার অভিযোগে সাতক্ষীরা সদর আসনে জামায়াতের সাবেক সাংসদ আব্দুল খালেক মণ্ডলসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের ২ জুলাই মামলা করেন সদর উপজেলার শিমুলবাড়িয়া গ্রামের শহীদ রুস্তম আলী গাজীর ছেলে নজরুল ইসলাম গাজী। পরে মামলাটি ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।
২০১৫ সালের ৭ অগাস্ট এ মামলার তদন্ত শুরু হয়। প্রায় দেড় বছর পর ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তদন্ত সম্পন্ন করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদনে আসামিদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের ৭টি অভিযোগ আনা হলেও যাচাই-বাছাইয়ের পর প্রসিকিউশন ৬টি অভিযোগ চূড়ান্ত করে।
এ মামলায় তদন্ত সংস্থা ৩৩ জনকে সাক্ষী করলেও প্রসিকিউশন তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের সাক্ষ্য নেয়।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট