লালমনিরহাট জেলার আদিতমারীতে বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের উপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। জমিজমা কে কেন্দ্র করে বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী নাতিকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাথায় কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। সোমবার সকালে আদিতমারী উপজেলার নামুড়ীরহাট রেলগেট সংলগ্ন মোল্লাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত দুজনকে উদ্ধার করে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদেরকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতরা হলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত কাজী জাফর আলী মোল্লার স্ত্রী বেগম আনজুমান আরা মোল্লা(৭১) তার বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি-ইচ্ছুক নাতি ফাহাদ বিন ফেরদৌস মীম(২১)।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী বেগম আনজুমান আরা মোল্লা তার নাতি ফাহাদ বিন মিমকে নিয়ে বাড়ির অদূরে নিজস্ব বাঁশ ঝাড় দেখতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে ওই এলাকার মৃত ইমাম উদ্দিনের ছেলে নুরুল হুদা (৬০) ও তার দুই ছেলে আলীমুল হক (২৮) ও আইনুল হক (২২) অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। কারণ জানতে চাইলে তাদের জমির রাস্তা (আইল) ব্যাবহার করে বাঁশ ঝাড়ে যাইতে নিষেধ করে। তাদের রাস্তা দিয়ে গেলে হাত- পা ভেঙ্গে ফেলার হুমকি দেয়। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে জমিতে কাজ করতে থাকা কোদাল দিয়ে ফেরদৌস মিমকে মাথায় কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। নাতিকে বাঁচাতে গেলে বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী আনজুমান আরা মোল্লাকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। এতে তার বাম হাত ভেঙ্গে যায়। তাদের চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এসে উদ্ধার করে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে অবস্থার কিছুটা অবনতি হলে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে কর্তব্যরত চিকিৎসক। বর্তমানে তারা রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর ছেলে এন কে এম লিটন মোল্লা বলেন, আমাদের বাঁশ ঝাড় যেতে তাদের জমির উপর দিয়ে যেতে হয়। এ জন্যই তারা বিভিন্ন সময়ে হুমকি ও গালিগালাজ করতো। আজকে আমার মা আর ভাগ্নেকে পেয়ে তারা হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে। তাদেরকে চিকিৎসার জন্য রংপুরে নিয়ে আসা হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের এমন নৃশংস হামলাকারীদের শাস্তি নিশ্চিতের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানান।
আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ তৌফিক আহমেদ বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ও নাতিকে আহত অবস্থায় এখানে নিয়ে আসা হয়েছিলো। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আদিতমারী থানার ওসি (তদন্ত) মোজাম্মেল হক বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।অভিযোগ পেলে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হবে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট