মাসিকের সময় কিংবা মাসিক ছাড়াও তলপেটে ব্যথার সমস্যা নিয়ে কিশোরী, তরুণী কিংবা মধ্যবয়স্ক নারীরা চিকিৎসকের কাছে আসেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অনেক সময় গাইনি বিশেষজ্ঞরা এই সমস্যাকে এন্ডোমেট্রিওসিস নামে অভিহিত করেন।
কারণ
জরায়ুর সবচেয়ে ভেতরের আস্তর বা এন্ডোমেট্রিয়াম যদি জরায়ুর বাইরে কোথাও জন্ম নেয় সেখান থেকে এন্ডোমেট্রিওসিস নামক অসুখ হয়। মাসিকের রক্ত যোনিপথে বের হয়ে আসে কিন্তু অন্য কোথাও জন্ম নেওয়া এন্ডোমেট্রিয়ামের রক্ত বাইরে আসার সুযোগ নেই, তাই তা জমে জমে কালো ঘন, আঠালো তরল পদার্থে পরিণত হয় ও সিস্টের জন্ম হয়, যার নাম ‘এন্ডোমেট্রিওটিক সিস্ট’ বা ‘চকোলেট সিস্ট’।
একই পরিবারের সদস্যদের মাঝে হওয়ার আশঙ্কা প্রায় সাত গুণ বেশি। সাধারণত ৩০-৪০ বছর বয়সীরা বেশি ভুগে থাকেন। তবে কিশোরীবেলা হতে শুরু করে মেনোপজের পরেও হতে পারে। বন্ধ্যাত্বের অন্যতম প্রধান কারণ এন্ডোমেট্রিওসিস।
উপসর্গ
♦ মাসিকের সময় পেটে ব্যথা।
♦ মাসিক ছাড়াও পেটে ব্যথা।
♦ মাসিকের সময় রক্ত বেশি ভাঙা বা ঘন ঘন মাসিক হওয়া
♦ মাসিকের সময় পায়খানা, প্রস্রাব করতে কষ্ট হওয়া।
♦ বিবাহিত নারীরা সহবাসের সময় ব্যথা অনুভব করা।
♦ সন্তান ধারণে অক্ষমতা
♦ কখনো কখনো কোনো উপসর্গ থাকে না। আলট্রাসনোগ্রাফিতে ধরা পড়ে এ সমস্যা।
করণীয়
রোগীর বিশদ ইতিহাস ও শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে একটা ধারণা পাওয়া যায়। আলট্রাসনোগ্রাফি বিশেষত ট্রান্স ভ্যাজাইনাল সনোগ্রাফি বিশেষ সহায়ক। কখনো কখনো গজও করা হয়। ল্যাপারোস্কপি করেও নির্ণয় করা যেতে পারে। এন্ডোমেট্রিওসিস একটি দীর্ঘমেয়াদি অসুখ, নিয়মিত ফলোআপ জরুরি।
এন্ডোমেট্রিওসিসের রোগীরা ডিম্বাণুর স্বল্পতা ও বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় ভুগতে পারেন, তাই তাড়াতাড়ি সন্তান লাভের চেষ্টা করা ভালো।
নিয়মিত ও যথাযথ চিকিৎসা নিলে এন্ডোমেট্রিওসিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট