দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কারে আমির হামজার নাম আসা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘আমরা ভুল করলে ভুল সংশোধন করি। ভুল হতে পারে, মানুষ হিসেবে আমরা ভুলের ঊর্ধ্বে নেই। তবে আমাদের আরো সতর্ক থাকা উচিত ছিল। কমিটির দায়িত্ব পালনে নিশ্চয়ই ভুলক্রটি হয়েছে।
নইলে এই ভুল হলো কেন? এটা যেমন আমার ব্যক্তিগত ব্যর্থতা এবং তেমনি কমিটিরও ব্যর্থতা। ’
আজ বুধবার (২৩ মার্চ) মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আরো বলেন, ‘তবে যাঁরা ভুল তথ্য দিয়েছেন, তাঁরাও এটার সঙ্গে জড়িত। তাঁরা আমাদের বিভ্রান্ত করেছেন। যাঁরা বিভ্রান্ত করেছেন, তাঁদের শাস্তি হবে। যেহেতু একটি কমিটি রয়েছে, সেহেতু কমিটিই বৈঠক করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। ’
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে গত ১৫ মার্চ এ বছরের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করে সরকার। এতে সাহিত্যে অবদান রাখায় মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার পান আমির হামজা।
১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছরের স্বাধীনতা দিবসে (২৬ মার্চ) স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়। ৫ লাখ টাকা, ১৮ ক্যারেট মানের ৫০ গ্রামের স্বর্ণপদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে।
এ বছর সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মরহুম মো. আমির হামজার নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু সাহিত্যজগতে একেবারেই অপরিচিত মাগুরার আমির হামজাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হয়। এ প্রেক্ষাপটে গত শুক্রবার তাঁর নামটি বাদ দিয়ে স্বাধীনতা পুরস্কারের সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। নতুন তালিকায় সাহিত্যে অন্য কারও নাম প্রকাশ করা হয়নি।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট