ঢাকা শহরের যানজট নিরসনে সাবওয়ে নির্মাণ হচ্ছে বলে জানিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এখন সাবওয়ে নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সেতুমন্ত্রী আজ সংসদে সরকারি দলের দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরে যানজট নিরসনে সাবওয়ে নির্মাণে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চলছে।
ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এর ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এটি সম্পন্ন হলে অর্থায়ন নিশ্চিত সাপেক্ষে সাবওয়ে নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ শিগগিরই শুরু হবে। ’
ঢাকা মহানগরে স্বপ্নের পাতাল রেল (সাবওয়ে) নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ২০৫০ সালে ঢাকায় মাটির নিচ দিয়ে রেল চলাচল করবে। এতে মোট ১১টি রুট থাকবে। তবে প্রাথমিকভাবে ২০৩০ সালে চারটি রুট চালুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
চার রুট নির্মাণে ব্যয় হবে দেশের চলতি অর্থবছরের মোট বাজেটের অর্ধেকের বেশি। তবে স্বপ্নের প্রকল্প নিয়ে স্বপ্ন দেখতেই খরচ হয়ে যাচ্ছে ৩২১ কোটি টাকা। সরকার এখন প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই করছে। চলতি বছরের জুনে সম্ভাব্যতা যাচাই ও প্রাথমিক নকশার কাজ শেষ হবে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২১ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৩১৭ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে পরামর্শক খাতে।
এর আগে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে বুলেট ট্রেন চালানোর স্বপ্ন দেখেছিল সরকার। সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেবে কি না তা পরীক্ষা করতে রেলওয়ে একটি প্রকল্প হাতে নেয়। প্রকল্পের যেসব কাজ হয় তাকে কারিগরি ভাষায় সম্ভাব্যতা যাচাই বলে। সেই প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে প্রায় ১০০ কোটি টাকা খরচ হয়। এরপর রেলওয়ে ঘোষণা দেয়, বাংলাদেশ এই মুহূর্তে বুলেট ট্রেন চলাচলের জন্য উপযুক্ত নয়। অথচ সরকারের এই বুলেট স্বপ্ন দেখতে ১০০ কোটি টাকা খরচ হয়। এখন পাতাল রেল চালানোর যে স্বপ্ন দেখা হচ্ছে, তা বাস্তবে রূপ নেবে কি না সেটা বোঝা যাবে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর। আর এই সম্ভাব্যতা যাচাই করতেই খরচ হচ্ছে ৩১৮ কোটি টাকা।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট