রাজধানীসহ আশপাশের এলাকায় ডায়রিয়া পরিস্থিতি তিন সপ্তাহ ধরে প্রায় একই অবস্থায় রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা তাঁদের অতীত অভিজ্ঞতা থেকে বলছেন, এ প্রকোপ এখনো তিন থেকে পাঁচ সপ্তাহ পর্যন্ত বহাল থাকতে পারে। মহাখালীর আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র (আইসিডিডিআরবি) ও পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে গত তিন সপ্তাহের ডায়রিয়া রোগীর ভর্তি বিশ্লেষণ করলে একই অবস্থা বহাল থাকার আভাসের সমর্থন মেলে।
মিটফোর্ড হাসপাতালের ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয় ১৬ মার্চ ৭৮০ জন, ১৭ মার্চ ৮১০ জন, গতকাল সোমবার ৯৫০ জন।
আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে ভর্তি হয় গত ১৬ মার্চ এক হাজার ৫৭ জন, ২১ মার্চ এক হাজার ২১৬ জন, ২৮ মার্চ এক হাজার ৩৩৪ জন এবং গতকাল ভর্তি হয় এক হাজার ২৭৪ জন। আইসিডিডিআরবি ও মিটফোর্ড হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর চাপ বেশি। চিকিৎসকরা চিকিৎসাসেবা দিতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তবে গতকাল ভিন্ন চিত্র দেখা যায় রাজধানীর মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এ দুটি হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীদের জন্য আলাদা কোনো ওয়ার্ড নেই। মেডিসিন বিভাগের অধীন ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ দুটি হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগী ভর্তি করা হচ্ছে খুবই কম সংখ্যায়। ডায়রিয়া রোগী এলে তাদের বেশির ভাগকে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে।
মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৯ তলায় মেডিসিন বিভাগের অধীন ডায়রিয়া রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আলাদা ডায়রিয়া ওয়ার্ড কেন নেই—প্রশ্নে কতর্ব্যরত কোনো চিকিৎসক কথা বলতে রাজি হননি। দুপুর ২টার দিকে বাসাবো এলাকার সামিয়া বেগম (২৪) নামের একজন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীকে মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে তাঁর স্বজনরা। জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত স্বাস্থ্যকর্মীরা রোগীর স্বজনদের বলে দেন রোগীর অবস্থা জটিল, মহাখালীর আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। বাধ্য হয়ে স্বজনরা রোগী নিয়ে ফিরে আসে।
ডায়রিয়ার অবস্থার আপাতত উন্নতির তেমন সম্ভাবনা নেই, এমনটাই জানালেন আইসিডিডিআরবি হাসপাতালের পরিচালক বাহারুল আলম।
তিনি বলেন, অতীতে দেখা যায় ডায়রিয়া প্রকোপ সাধারণত ছয় থেকে আট সপ্তাহ পর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। বর্তমানে এই প্রকোপ শুরুর মাত্র তিন সপ্তাহ পার হয়েছে। ’
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট