লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় হঠাৎ তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে প্রান্তিক চাষিরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর ও তাহিরপুরের তিনটি ফসল রক্ষা বাঁধ ভাঙনের মুখে আছে। শাল্লা উপজেলার একটি বাঁধ ভেঙে পড়ার উপক্রম।
হাতীবান্ধায় কয়েক দিন ধরে উজানে ভারি বৃষ্টির ফলে হঠাৎ তিস্তার পানি বৃদ্ধি পায়। এতে চরের কৃষকদের পেঁয়াজ, আদা, রসুন, মরিচ, ভুট্টা, লাউ, কুমড়া, তরমুজ, শসা ও মসলাজাতীয় অনেক ফসলের ক্ষেত তলিয়ে গেছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ব্যারাজের বেশির ভাগ গেট খুলে দিয়ে পানিপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। কৃষকদের তলিয়ে যাওয়া ফসলগুলো নৌকায় করে এনে রোদে শুকানো হচ্ছে।
এদিকে নেত্রকোনার খালিয়াজুরীর হাওরে পানি বাড়ছে। ধনু নদীর পানি গতকাল সকাল থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ১৫ সেন্টিমিটার বেড়ে যায়। পানির চাপ আর ঢেউয়ের ধাক্কায় ফসল রক্ষা বাঁধ হুমকির মুখে আছে।
স্থানীয় কৃষি বিভাগ ও কৃষকরা জানিয়েছেন, বাঁধের বাইরে থাকা তলিয়ে যাওয়া শতাধিক হেক্টর জমির আধাপাকা ধান গতকাল পর্যন্ত ২৫ শতাংশ কাটতে পেরেছেন কৃষক। বাকি ফসল নিমজ্জিত অবস্থায় আছে।
নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত বলেন, ‘আমি বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অবস্থান করছি। বাঁধ মেরামত প্রকল্পের সদস্য ও এলাকাবাসীর সহায়তায় ঝুঁকিপূর্ণ অংশে মাটিভর্তি বস্তা ফেলে মেরামতের কাজ চলছে। ’
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট