1. fauzursabit135@gmail.com : Fauzur Rahman Sabit : Fauzur Rahman Sabit
  2. sizulislam7@gmail.com : sizul islam : sizul islam
  3. mridha841@gmail.com : Sohel Khan : Sohel Khan
  4. multicare.net@gmail.com : অদেখা বিশ্ব :
শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১০:৫২ পূর্বাহ্ন

শেরপুরে বনে জ্বলছে আগুন, উজাড় হচ্ছে শাল-গজারি

শেরপুর প্রতিনিধি-
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল, ২০২২
শেরপুরের বনে আগুন

এবারও বনে আগুন জ্বলছে, পুড়ছে গাছের চারা, নষ্ট হচ্ছে বড় গাছ, বিপন্ন হচ্ছে পাখিসহ উপকারী কীটপতঙ্গ। আগুনের ঘটনাটি ঘটছে শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার পাহাড়ি এলাকায়। কয়েক বছর ধরেই চৈত্র মাসে বনের বিভিন্ন স্থানে আগুন দেয় বনখেকোরা। এ সুযোগে কেটে নেয় বনের মূল্যবান বৃক্ষ।

মঙ্গলবার সরেজমিনে গেলে বনের অংশীদার, স্থানীয় লোকজন ও বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে উঠে আসে এমন তথ্য।

জানা যায়, শেরপুরের ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্ত এলাকার বালিজুরি ও রাংটিয়া রেঞ্জে রয়েছে বিস্তীর্ণ তৃণভূমি। এসব বনভূমিতে বেশির ভাগ উডলট বাগান। এর পাশাপাশি রয়েছে শাল-গজারি বৃক্ষের বাগান। অবশিষ্ট বনভূমি পরিত্যক্ত ও বেদখল। শুষ্ক মৌসুমে এসব বৃক্ষ থেকে ঝরে পড়ে পাতা। বৃক্ষ চুরির সুবিধার্থে বন বাগানে আগুন দেয় বনখেকোরা।

বন বিভাগের এক কর্মকর্তা বৃক্ষ চুরির সত্যতা নিশ্চিত করে বলে, স্থানীয় বনখেকোরা এই কাজের সাথে জড়িত। এ জন্য প্রতিবছর বন আইনে কয়েকটি মামলা হয়। এতে আসামি অর্ধশতাধিক লোক।

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরেও শাল-গজারি বন রক্ষায় কোটি টাকার প্রকল্প আছে। কিন্তু এ প্রকল্প নিয়ে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। স্থানীয়রা বলছেন, এসব অর্থ থেকে যায় বন বিভাগের কর্মকর্তাদের পকেটে। ফলে বনের বৃক্ষ চুরি ঠেকাতে নেই কোনো তদারকি। এতে ক্রমেই বাড়ছে বৃক্ষ চুরির ঘটনা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিযোগকারী আক্ষেপ করে বলেন, কথা ছিল শালবন রক্ষা ও দেখভালের টাকা দেবে। কিন্তু সেই কথা রক্ষা হয়নি। ২০ বছর ধরে পরিশ্রম করছি। এক টাকাও পাইনি।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, সমতলের পাহাড়গুলো সবুজ ঘাসে বেষ্টিত। এ পাহাড়ে আমরা গরু পালন করি। বনের হাজার হাজার হেক্টর জমি আগুনে পুড়ে উজাড় করা হয়। এতে সংকট দেখা দেয় গো খাদ্যের। বিচরণভূমিগুলো এখন মরুভূমি।

রাংটিয়া রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মকরুল ইসলাম আকন্দ বলেন, ‘যেখানে গাছ পুড়ে গেছে সেখানে পুনরায় গাছ লাগানো হবে। তার মানে রিপেয়ারিং করার সুযোগ আছে। তবে স্থানীয় মানুষরাই এ আগুন দেয়। তিনি আরো বলেন, অসাধু মানুষেরা বনের নিয়ম-কানুন মানতে চায় না। অনেকে হিংসার বশবর্তী হয়ে কাজটি করছে। ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌এ ছাড়া আমাদের জনবল কম। তবে আগুনের ক্ষতিকর দিক বর্ণনা করে সতর্কতামূলক মাইকিং করা হয়েছে। ‘ এই প্রচার-প্রচারণা আরো বৃহৎ পরিসরে করা দরকার বলেও তিনি জানান।

শাল-গজারি রক্ষায় ব্যর্থতার জন্য লোকবলের অজুহাত দিয়ে বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক আবু ইউসুফ বলেন, বিট অফিসে যে পরিমাণ লোকবল আছে তা দিয়ে শালবনের আগুন নেভানো সম্ভব না।

জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশিদ বলেন, ‌’বনে আগুন দেওয়ার ঘটনা শুনেছি। বন বিভাগের অফিসারদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছি

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট

Theme Customized BY LatestNews