” সততা” হচ্ছে মৌলিক পদার্থের মত। যার কোন পরিবর্তন বা রূপান্তর নেই। আপনি যে দেশের, যে সংস্কৃতির, যে ধর্মের হোন না কেন? সততা হচ্ছে প্রকৃত মানবতা। কারো ক্ষতি না করে সৎ জীবন যাপন করা প্রতিটি মানুষের উচিত। পারলে অন্যকে সাহায্য করতে হবে, না পারলে অন্তত ক্ষতি করা যাবে না। নিজের এবং অন্যের, কারো ক্ষতি করা অনুচিত।
একেক জনের বিশ্বাস, দৃষ্টিভঙ্গী, রুচি, শিক্ষা আলাদা।
প্রত্যেকের নিজের পছন্দ মত জীবন যাপন করার অধিকার আছে।
দাদী নানীর কাছে শুনেছি তারা আট বছর বয়স থেকে শাড়ী পরতেন। শাড়ি আর টিপ বাঙালির ঐতিহ্য।
জন্মের পরে কালো টিপ সবাই পড়েছি নজর না লাগে যাতে।
” আয় আয় চাঁদ মামা টিপ দিয়ে যা
চাঁদের কপালে চাঁদ টিপ দিয়ে যা।”
কত আদরের শিশু আমাদের। টিপের কথা শুনে হেসে উঠতো! এখন ধীরে ধীরে পোশাক পরিবর্তন হচ্ছে, বাঙালী ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে।
কাদের জন্য তা বলব না। আমি মানুষের মনস্তাত্ত্বিক দিক বিশ্লেষণ করতে ভালবাসি।
সবাই নিজের যত্ন নিন। নিজের ভালো লাগার বিষয় প্রাধান্য দিন। মনে রাখা উচিৎ, নিজে ভালো না থাকলে কাউকে ভালো রাখা যায় না।
মানুষের মন বড়ই জটিল এক কারখানা৷ আমরা যাপিত জীবনে কি আচরণ করি, কেন করি তার পেছনের কারণ নির্নয় করা বড়ই দুঃসাধ্য। তবুও হিউম্যান বিহেভিয়ার নিয়ে কতই না গবেষণা হচ্ছে প্রতিনিয়ত৷ মানুষের সাইকোলজি নিয়ে যত ঘাটাবেন ততই অবাক বনে যাবেন। আজ মানুষ সম্পর্কে ১৮ টা সাইকোলজিক্যাল ফ্যাক্টস শেয়ার করছি আপনাদের সাথে। পড়েই দেখুন, মিলে যেতে পারে আপনার সাথেও!
১। যে বন্ধুত্বগুলো ১৬ থেকে ২৮ বছর বয়সের মধ্যে গড়ে উঠে গবেষণা বলে এই বন্ধুত্বগুলো বেশিদিন টিকে থাকে।
২। রাতের বেলায় যদি আপনি আপনার চিন্তাভাবনা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন, যদি অস্থির অস্থির বোধ হয়, যন্ত্রণায় ঘুমাতে না পারেন তাহলে ঘুমানোর চেষ্টা না করে খাতা কলম নিয়ে বসে পড়ুন। চিন্তাভাবনা, অসহায়ত্বগুলো লিখে ফেলুন। আপনার অস্থির চিত্ত ঠান্ডা হয়ে আসবে নিশ্চিত।
অস্থিরতার কারণ পেলে সমাধান ও পাবেন।
৩। হাতের লেখা বাজে হওয়া নিয়ে অনেক সময় মন খারাপ হয়। কিন্তু গবেষণা বলে যাদের হাতের লেখা বাজে তারা তুলনামূলকভাবে বেশি বুদ্ধিমান। তাদের মাইন্ড এত দ্রুত কাজ করে যে, তারা হাতের লেখা সুন্দর হচ্ছে না এটা খেয়ালই থাকে না। আমি কয়েক জনকে চিনি, বাজে হাতের লেখা নিয়ে অনেক প্রতিষ্ঠিত তারা।
৪। আপনার প্রিয় মানুষের কাছে ছোট ছোট ক্ষুদে বার্তা যেমন “শুভ সকাল”, “শুভ রাত্রি” বার্তা উপহার পেলে মস্তিষ্কে আনন্দদায়ক একটা অনুভূতি তৈরি হয়।
৫। বুদ্ধিমান মানুষদের কাছের বন্ধুমহলের পরিধি সাধারণত ছোট হয়। বন্ধু নির্বাচনে তারা বেশ সিলেকটিভ হন।
৬। যারা প্রচুর ঘুরাঘুরি করেন, অন্যদের তুলনায় তাদের ডিপ্রেশনে পড়ার চান্স কম। এমনকি যারা ঘুরাঘুরি করেন তাদের হার্ট এট্যাক হবার চান্সও কম।
৭। নারীরা কতক্ষণ গোপন কথা গোপন রাখতে পারেন? গড়ে একজন নারী একটা গোপন কথা ৪৭ ঘন্টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত গোপন রাখতে পারেন।
৮। যে মানুষটা আপনার জীবন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ মতামত দেয়, আপনাকে প্রেরণা দেয়ার চেষ্টা করে, তারা নিজেদের জীবনেই অনেক সমস্যা লুকিয়ে বেঁচে আছেন৷
৯। আপনি কথা বলার সময় কি চান মানুষের কাছে আপনাকে আকর্ষণীয় মনে হোক? তাহলে আপনি যে বিষয়ে সবচেয়ে প্যাশনেট সেই বিষয় নিয়েই কথা বলুন।
১০। লাজুক লোক যখন নিজের সম্পর্কে কথা বলে, তখন তারা খুব অল্প কথাই শেয়ার করে কিন্তু এমনভাবে বলে যেন মনে হয় তারা নিজেকে খুব ভাল জানে।
১১। মানুষ যখন আনন্দে হাসতে হাসতে কেঁদে ফেলে তখন ডান চোখ দিয়ে প্রথমে জল বেরোয়, আর কষ্টে থাকলে বাম চোখ দিয়ে জল বেরোয় প্রথমে। খেয়াল করে দেখেছেন?
১২। আমরা কিভাবে কথা বলি, আচরণ করি তার সেটা আমাদের মুডকে নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু, আমাদের আবেগ আমাদের কথা বলার উপর কমই প্রভাব ফেলে।
১৩। ঘুমানোর আগে সর্বশেষ যে মানুষটার কথা আপনার মাথায় ঘুরে সে হয়ত আপনার আনন্দের কারণ নয়ত বেদনার!
১৪। দৈনিক ১৫টা সিগারেট খেলে যে ক্ষতি হয়, ঠিক ততটাই ক্ষতি হয় যদি আপনি দীর্ঘদিন একা থাকেন।
১৫। যেসব নারীদের ছেলেবন্ধু বেশি থাকে, তাদের মন মেজাজ সাধারণত বেশি উৎফুল্ল থাকে।
১৬। সবচেয়ে কাছের বন্ধুর সাথে বিয়ে হলে সেইসব বিয়ে না ভাঙ্গার চান্স ৭০% এবং এই ধরণের বিয়েগুলো বেশিদিন টিকার সম্ভাবনা থাকে। কারণ বন্ধুত্বের গুরুত্ব অনেক।
১৭। যে কাজগুলো আপনি জনমভর করতে ভয় পান, সেগুলো করেই দেখুন। আপনি বেশি সুখী অনুভব করবেন।
ভয় কেটে যাবে।
১৮! কাজের লোক, ড্রাইভার, রিক্সাওয়ালা, হোটেলের বেয়ারার সাথে কেমন আচরণ করে মানুষ, সেটাই তার আসল চরিত্র।
সবাই ভালো থাকুন আর নিরাপদ থাকুন।
সুস্থ থাকুন। শারিরীক এবং মানসিক সুস্থতা সমান গুরুত্বপূর্ণ।
কাজেই শরিরের যত্নের পাশাপাশি মনের যত্ন নিন।
মনের চাপ কমাতে মেডিটেশন করা যায়।
কাজের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া যায়।
একাই সব দায়িত্ব নিতে যাবেন না।
অবসর সময় বের করে অবসর বিনোদন করুন কিছুটা সময়।