দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সমালোচনা করে জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সারা দেশে একটা বড় ধরনের আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে এটা নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা যাচ্ছে। যখন এটা নিয়ে সংসদে আলাপ হয়, দেখা যায় সরকারের মন্ত্রী স্বীকার করতে চান না। পরবর্তী সময়ে স্বীকার করার সময় বললেন, ‘কোনো অসুবিধা নেই।
সকলের আয় বেড়েছে। মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে না। বাণিজ্যমন্ত্রী বললেন, বিদেশে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে এখানেও বাড়বে। এটাতে করার কিছু নেই। ‘
আজ বুধবার একাদশ জাতীয় সংসদের সপ্তদশ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, গড় আয় বাড়লেও আয়ের বৈষম্য বাড়ছে। বেকারত্বের সংখ্যা বাড়ছে। মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ও হতদরিদ্র মানুষ ভালো নেই। বিবিএসের তথ্য মতে, গত এক দশকে মজুরি বেড়েছে ৮১ শতাংশ। জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে ৮৪ টাকা। সরকারি হিসেবে মজুরি বৃদ্ধির চেয়ে দাম বাড়ার হার বেশি। পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। মাথাপিছু আয় বেড়েছে, মানুষ ভালো আছে, এই কথাটা বলা হচ্ছে। দারিদ্র্যের হার ৪২ শতাংশ বেড়েছে। নিম্ন মজুরি আন্তর্জাতিক মান সীমার নিচে।
তিনি আরো বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে ঠিক। এটা আংশিক সত্য। বেশির ভাগ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস আমরা বিদেশ থেকে আনি না। সব জিনিসের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। সাধারণ মানুষের ধারণা, মধ্যস্বত্বভোগী ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বাড়ানো হচ্ছে। বিভিন্ন স্তরে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির কারণে মূল্য বাড়ছে। জনসাধারণ শঙ্কিত হচ্ছে, যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে পণ্যের দাম আরো বাড়তে পারে। ‘
রাজধানীর যানজট প্রসঙ্গে জি এম কাদের বলেন, ‘যানজট এমন অবস্থায় গেছে, অনেকে বলছে যেন নরকে বাস করছি। মানুষ এখন নরক যন্ত্রণা ভোগ করছে। ঢাকার সড়ক যেন দিন দিন নিশ্চল হয়ে পড়ছে। আমরা উন্নয়ন চাই। কিন্তু উন্নয়ন প্রকল্প পরিকল্পিতভাবে গ্রহণ ও নির্ধারিত সময়ে শেষ করা উচিত। বাংলাদেশের উন্নয়নের কারণে মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছে। তেমনভাবে দেখার কেউ নেই। সব প্রকল্প একসাথে চলছে। ফলে যানজট বাড়ছে। ‘
তিনি আরো বলেন, উন্নয়নের নামে রাজধানীকে কি নরকে পরিণত করছি? ভেবে দেখার সময় এসেছে। নির্মাণসামগ্রীর দাম অনেক বেড়ে গেছে। হঠাৎ করে দাম বেড়ে যাওয়ায় ঠিকাদাররা সমস্যায় পড়েছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট