প্রথমে যুদ্ধ করুন নিজের সাথে, প্রথমে ভালোবাসুন নিজেকে। তবেই দেখবেন আপনার প্রতিটি পদক্ষেপ কেমন বলিষ্ঠ এব দৃঢ় হয়। নিজেকে না খুঁজে আমরা অন্যকে নিয়ে বেশি চিন্তা করি। অন্যের চিন্তা করতে করতে নিজের আসল কাজটাই কখন ভুলে গেছি সে খেয়াল রাখিনা আমরা। পরনিন্দা পরচর্চা করতে আমরা অভ্যস্ত। অথচ নিজের হাজারো দোষ-ত্রুটি কখনো দেখতে পাই না। নিজের মাঝে মনোনিবেশ সর্বাগ্রে, এমনটি নিজের ওয়ালে লিখেছেন রাজিয়া রহমান। তিনি লিখেছেন-
পৃথিবীতে অন্য কাউকে নিয়ে চিন্তা করার আগে একবার নিজেকে নিয়ে চিন্তা করুন। অন্য কাউকে মোটিভেট করার আগে নিজেকে মোটিভেট করুন।
আপনি কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছেন সেই জায়গায়টা অনুধাবন করুন। অনুধাবন করুন যে, আপনি যে জায়গাটায় দাঁড়িয়ে আছেন সেই জায়গাটা কি আপনার জন্য পারফেক্ট? সেই জায়গাটা কি আপনার ভার বহর করার ক্ষমতা রাখে।
যদি সেই জায়গা আপনার ভার বহন করার মতো ক্ষমতা রাখে, তবে আপনি অন্য কাউকে নিয়ে ভাবতে পারেন। চাইলে আপনি তাকে আপনার জায়গায় নিয়ে এসে দাঁড় করাতে পারেন। আপনার সঙ্গ করতে পারেন।
এটা কোনো মোটিভেশান কথা না, এটা নিজের জন্য নিজের একটা কথা।
নিজেকে ভালোবেসে দেখুন, পৃথিবীর কোনো আঘাতই আপনাকে ভাঙতে পারবে না।
নিজেকে ভালোবাসার প্রথম ধাপ হলো নিজের ভেতর আর একটা নিজেকে সৃষ্টি করা। যখন আপনি নিজের ভেতর আরো একটা নিজেকে সৃষ্টি করতো পারবেন, তখন সকল প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েও আপনি আপনার মনোবলের দ্বারা সামনে এগিয়ে যেতে পারবেন।
আপনি যখন কোনো আঘাত পাবেন আপনার প্রিয়জনের থেকে। তখন আপনাকে সান্ত্বনা দেবার মতো মানুষ খুঁজে পাবেন না।
কিন্তু আপনার ভেতর যদি আরো একটা আপনি থাকেন, তখন আপনি আপনাকে সান্ত্বনা দিতে পারবেন। সান্ত্বনা দিয়ে এই শরীরের বাহিক্যের কোনো ক্ষতের আঘাত হয়তো শুকায় না, সান্ত্বনা দিয়ে এই পৃথিবীর ভেঙে যাওয়া কোনোকিছুই ঠিক হয়। কিন্তু শুকায় কেবলই মনের ভেতর আঘাত পাওয়ার ক্ষত, ঠিক হয় কেবল ভেঙে যাওয়া বস্তুর শব্দ।
এই পৃথিবীতে প্রত্যকটা মানুষ তার নিজের জন্য বাঁচে।
বেঁচে থাকার আগ্রহ কেবলই নিজেকে নিয়ে।
যে মানুষগুলো আমাদের জীবনে থাকার কথা,আগলে রাখার কথা, শত বাঁধা বিপত্তিতে, সুখ দুঃখে থাকার কথা, তারাই জীবন থেকে হুট করে চলে যায়। তারা বুঝিয়ে দেয়, এই পৃথিবীর কোনো কিছু আমার আপনার জন্য স্থায়ীত্ব বহন করে নিয়ে আসেনি।