প্রিয় বৈশাখ
-পান্না আহমেদ
রবীন্দ্র সরোবরের প্রথম ভোরে নেচে নেচে ফিরছিল
প্রিয় বৈশাখ
তালপাতার হাওয়া খেতে খেতে সে এসে
গা এলিয়ে দিল বালিকার শুভ্র আঁচলে!
গিটার আর তবলার তালে তালে
বাতাসে উড়ে তার জলের নুপুর
কতরঙে চোখ রাখে লালনীল ঘুড়ির শরীরে
আরো তার চিহ্ন রয়ে যায়
লেবুপাতা করমচায়!
ফুলের গোপনে লুকিয়ে সে চড়ে বসে
বালিকার কেশের উপর
রেনু মাখিয়ে দেয় তার চোখের পাতায়!
এরপর নেচে নেচে ফিরে
নানান পশরায়
মধুমাসের ডালায় ডালায়।
বালিকা তুমি ভুলেও অভিমান করোনা
দেখোনা কেমন বিরহে মাতাল
ওই বাতাসের বুক
কেমন রুদ্রপ্রতাপ ওই গগন আর বিশ্ব চরাচর
বাতাসে কেঁপে ওঠে
দুলে ওঠে আঙিনা উঠোন!
বোশেখ তোমার বিরহী কাতর মন
রুষে ওঠে কাঁপিয়ে দেয় বালিকার শুভ্র আঁচল
কাঁপিয়ে দেয় জগতের বুকের পাঁজর!
হে বৈশাখ তোমার প্রেমের কত রূপ
কত ছলনা
এক অবুঝ বালা তার কত ভার নেয় বলো?
তুমি ভালবেসে শান্ত হও
শিতল ধরনীর বুক ভরে দাও প্রেমের নেশায়!
বালিকার লাল সবুজ জমিনের প্রেমজ আঁচল
ভরে দাও প্রিয় অভিসারে!
নেচে নেচে ফেরো তার বুকের ভেতর
তার শুদ্ধ চোখের তারায়
কম্পিত ওই ঠোঁটের আগায়!
হে প্রিয় বৈশাখ!!