লালমনিরহাটে পুলিশের হেফাজতে রবিউল ইসলাম খান নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভ ও শোক প্রকাশ করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা স্থানীয় সাংসদ গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, তরতাজা এক যুবক অকালে প্রাণ হারালো। এই বিষয়টি সারা দেশের জন্য অশুভ সংকেত। পুলিশ হেফাজতে এ ধরনের প্রাণ হারানো দু:খজনক।
শনিবার দুপুরে লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটী ইউনিয়নের কাজীর চওড়া গ্রামে পুলিশের নির্যাতনে নিহত রবিউল ইসলাম খানের বাড়িতে গেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এ ঘটনায় পুলিশের গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির কার্যক্রম নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে তিনি বলেন,কমিটির সদস্যগণ অভিযুক্তদের সহকমীর্ হওয়ায় এর নিরেপক্ষতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তিনি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবী করেন। নিহতের পরিবারকে প্রতিমাসে পাঁচ হাজার টাকা ও যোগ্যতা অনুযায়ী স্ত্রীকে চাকুরী প্রদানের আশ্বাস দেন তিনি।এসময় জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক জাহিদ হোসেন লিমন,সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক অ্যাডভোকেট নজুরুল ইসলাম সহ জাতীয় পার্টির জেলা,পৌরসভা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে জুয়ারী সন্দেহে রবিউল ইসলাম খানকে আটক করে পুলিশ ভ্যানে থানায় নিয়ে আসার পথে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে সদর হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরনের পরামর্শ দেয়। রংপুরে নেওয়ার প্রস্থতিকালে জরুরী বিভাগে মারা যায় রবিউল। নিহত স্বজনরা দাবী করে বলছেন, রবিউলকে আটকের পর তার উপর নির্যাতন চালায় পুলিশ। এতেই তার মৃত্যু ঘটে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকতার্র শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার রাতে ও পরেরদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসি। নিহত রবিউল ইসলাম খান লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটী ইউনিয়নের কাজীরচওড়া গ্রামের দুলাল খানের পুত্র।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট