লালমনিরহাটে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রে ভুল ও প্রশ্ন সরবরাহে বিলম্ব হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে শতাধিক পরীক্ষার্থী। এ ঘটনায় বিক্ষোভ করেছে পরীক্ষার্থীরা।পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ৭২ জন শিক্ষাথীকে বহিস্কার করা হয়েছে। ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করায় দুই পরীক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার লালমনিরহাট জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় এসব ঘটনা ঘটে।
লালমনিরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায়, শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় লালমনিরহাট জেলায় ১৫হাজার ১শত ৪৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩ হাজার ৮শ ৭৯ জন অনুপস্থিত ছিলো। পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও সুরমা সেটে পরীক্ষা নেওয়া হয়। কিন্তু মেঘনা,সুরমা ও পদ্মা সেটে প্রশ্নপত্র ভুল ও প্রয়োজনের তুলনায় কম প্রশ্নপত্র থাকায় শতাধিক পরীক্ষার্থী বিপাকে পড়ে। আধা ঘন্টা থেকে ১ ঘন্টা বিলম্বে পরীক্ষা শুরু হয়। এতে অনেক পরিক্ষার্থী নিয়োগ পরীক্ষা না দিয়েই বাড়িতে চলে যায়।
লালমনিরহাট আদশ ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রের পরীক্ষাথী আজিনুর রহমান জানান,আমরা ১১টায় পরীক্ষা দিতে এসে দেখি আমাদের মেঘনা সেটের কোন প্রশ্ন নেই।প্রশ্ন না থাকার কারনে আমাদের হল থেকে বের করে দেন।আমরা একঘন্টা অপেক্ষা করার পরও আমাদের পরীক্ষা নেয়নি।আমরা পরীক্ষা দিতে চাই।আমাদের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হোক।
ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বের হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন লালমনিরহাট সরকারী কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আসা সাদিকা খাতুন ও আমেনা আকতার, তারা জানান, সুরমা কোডে তাদের প্রশ্ন পত্রে ক্রমিক সংখ্যার ধারাবাহিকতার ভুল ছিল। পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বরত শিক্ষকদের সাহায্য চাইলে তারা বলেন, তোমাদের কপাল খারাপ। এমন পরিক্ষার্থীর সংখ্যা অধশতের বেশ কিছু বলে তারা জানান।
লালমনিরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম নবী জানান,লালমনিরহাট সরকারী কলেজ, পিটিআই কলেজ ও লালমনিরহাট আদর্শ ডিগ্রি কলেজ সেন্টারে মেঘনা সেটে প্রশ্নপত্র প্রয়োজনের তুলনায় কম থাকায় নির্দিষ্ট সময়ের পরে পরীক্ষা নেওয়া হয়।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর প্রশ্ন পত্রে ভুল ও প্রশ্ন সরবরাহে বিলম্ব প্রসঙ্গে বলেন, সবকিছু সমাধান করেই পরীক্ষা সুষ্ঠ ভাবে নেওয়া হয়েছে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট