আমদানি করা পণ্যের পাশাপাশি দেশে উৎপাদিত পণ্যের দামও বাড়ছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের আগে দেশের বাজারে নিত্যপণ্যের যে দাম ছিল, তার মধ্যে বেশ কিছু পণ্যের দাম এখন কেজিতে ১০ টাকা থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
নিত্যপণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ভোজ্য তেল, আটা, ময়দা, ডাল, রসুনসহ বেশ কিছু আমদানীকৃত পণ্যের দাম। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর সরবরাহব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় এসব পণ্যের দাম বেড়ে গেছে।
আবার বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, কয়েকটি যৌক্তিক কারণ বাদ দিলে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বৈশ্বিক পরিস্থিতিকে ব্যবহার করে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে চলেছেন। এ অবস্থায় সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ও টিসিবির বাজারদরের তথ্যানুযায়ী, গতকাল রবিবার খোলা ও প্যাকেট আটা কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ৪৫ টাকায়। খোলা আটার দাম বাড়লেও প্যাকেটজাত আটার দাম বাড়েনি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাড়তি দামের প্যাকেটজাত আটা এখনো বাজারে আসেনি। এর আগে গত ১ মে খোলা আটা প্রতি কেজি ৪০ ও প্যাকেটজাত আটা ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। ইউক্রেন যুদ্ধের আগে ২৩ ফেব্রুয়ারি খোলা আটা ৩২ও প্যাকেট আটা ৩৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল।
গতকাল খোলা ময়দা ৬৫ টাকা ও প্যাকেট ময়দা ৭০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হয়েছে। গত ১ মে খোলা ময়দার কেজি ৫৫ ও প্যাকেট ময়দার কেজি ৬০ টাকা ছিল। যুদ্ধের আগে ২৩ ফেব্রুয়ারি খোলা ময়দা ৪৮ টাকা ও প্যাকেট ময়দা ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট