বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী বলেছেন,পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে কথা বলেছেন তাতে করে তার মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী হয়ে কি করে এমন অশোভন কথা তিনি বলতে পারেন। তার স্থান গণভবন না হয়ে পাবনায় হওয়া উচিত বলে তিনি আরো জানান।পদ্মা সেতু আপনার শাড়ির আঁচলের টাকায় করেননি। জনগনের ট্যাক্সের টাকায় করে এত গর্ব কিসের?
সোমবার বিকেলে লালমনিরহাটের বড়বাড়ি শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় মাঠে স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে জেলা বিএনপি আয়োজিত শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুনামেন্টে সেমিফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী আহমেদ আরো বলেন, বেগুনের দাম বেশি তাই প্রধানমন্ত্রী বলেন মিষ্টি কুমড়ার বেগুনি খাই। মিষ্টি কুমড়ার বেগুনি হবে কি করে?। তিনি(প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, তেল ছাড়া রান্না করা যায়। তাহলে আপনি প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও তো দেশ চলানো যায়। সুষ্ঠ নির্বাচন দিলে যেই ক্ষমতায় আসুক সেই থাকবে। শেখ হাসিনাকে তো প্রধানমন্ত্রী থাকতেই হবে। এমন তো কোন কথা নয়। আপনি থাকার কারনে গনতন্ত্র ধ্বংস, ভোট ধ্বংস, দিনের ভোট রাতে হয়, ভোট কেন্দ্র মানুষ নেই, আছে কুকুর গরু ছাগল তারা ভোট কেন্দ্রে থাকেন। এই হলো ভোট, নির্বাচন, এই হলো গনতন্ত্র।
রিজভী বলেন, দেখবেন হঠাৎ করে কোন মানুষ যদি অনেক টাকা পেয়ে যায়। তখন তার মাঝে পাগলামি হয়। তাদের আমলে ১১ লক্ষ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এটা আওয়ামীলীগ করেছে। তাই তাদের মাঝে একটা পাগলামি চেপে বসেছে। তারা আজ উদ্ভট কথা বলছে।
তিনি আরও বলেন, খেলাধুলার সাথে মানুষের সুস্থতার সম্পর্ক আছে। একজন রাজনীতিক কর্মী যদি খেলাধুলার সাথে সম্পৃক্ত থাকে তবে সে ভাল আদর্শবাদি দক্ষ রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে গড়ে উঠবে। এত সুন্দর আয়োজন আগে জানলে এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দাওয়াত দিতে বলতাম। তাহলে তার মাঝে সুস্থতা ফিরে আসত। আমি তার মাঝে কোন সুস্থতা দেখিনা।
রিজভী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই নয়, একজন সুস্থ্য মানুষ হিসেবে কখনই বলতে পারেন না। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও স্বাধীনতার ঘোষকের স্ত্রীকে পদ্মা নদীতে টুস করে চুবিয়ে আবার তুলবেন। এটা কিভাবে বলেন। অসুস্থ্য ছাড়া কোন সুস্থ্য মানুষ কখনই এভাবে বলতে পারেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাঝে আমি সুস্থতার কোন লক্ষন দেখি না। পাগলামি ছাড়া।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি’র সিনিয়র মহাসচিব রিজভী বলেন, নিরপেক্ষ সরকার দিতে হবে। তারাও তত্ত্ববধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করেছিল। তারাই আবার তত্ত্ববধায়ক সরকার পরিবর্তন করলো কেন? । সুতরাং তত্ত্ববধায়ক সরকার দিতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করলে হাসিনা সরকারের পাতানো নির্বাচনে বিএনপি’র অংশ গ্রহন করার প্রশ্নেই উঠে না।
বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুর হাবিব দুলু’র সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রংপুর জেলা বিএনপি’র আহবায়ক সাইফুল ইসলাম, রংপুর মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক সামসুজ্জামান সামু, লালমনিরহাট জেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলা,বিএনপির সহ সভাপতি রোকন উদ্দিন আহমেদ বাবুল, সদর বিএনপি’র আহবায়ক একেএম মমিনুল হক,বিএনপির নেতা আফজাল হোসেনসহ রংপুর বিভাগের বিএনপি’র নেতার্কমীরা।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট