1. fauzursabit135@gmail.com : Fauzur Rahman Sabit : Fauzur Rahman Sabit
  2. sizulislam7@gmail.com : sizul islam : sizul islam
  3. mridha841@gmail.com : Sohel Khan : Sohel Khan
  4. multicare.net@gmail.com : অদেখা বিশ্ব :
বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ০২:৫৩ অপরাহ্ন

জ্বালানি তেলে ব্যাপক ভর্তুকি, সীমান্ত দিয়ে পাচারের শঙ্কা

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২৯ মে, ২০২২

জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার এখনো অস্থির। বিভিন্ন দেশ নানাভাবে এর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ৮০ টাকা। কিন্তু ভারতের পশ্চিমবঙ্গে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ১০৬ টাকা (৯৩.৮৮ রুপি)।

বাংলাদেশে পেট্রল বিক্রি হচ্ছে ৮৬ টাকা লিটার, পশ্চিমবঙ্গে তা ১১৯ টাকা (১০৬ রুপি)। এ অবস্থায় সীমান্ত দিয়ে তেল পাচারের ঝুঁকি বাড়ছে।

বাংলাদেশ জ্বালানি তেলে ব্যাপক ভর্তুকি দিচ্ছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের জ্বালানি তেলের দামের পার্থক্য আগে আরো বেশি ছিল। গত সপ্তাহে ভারতে পেট্রল ও ডিজেলের দাম কমানোয় ব্যবধান কিছুটা কমেছে। এর পরও স্থল ও সাগরপথে বিচ্ছিন্নভাবে তেল পাচারের ঘটনা ঘটছে। বিশেষ এই সময়ে পাচারের বিষয়টি ভাবিয়ে তুলছে সরকারকে। এরই মধ্যে সীমান্ত ও সাগরপথে তেল পাচার রোধে জ্বালানি বিভাগের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ভর্তুকি দেওয়ার কারণে দেশের সব পর্যায়ের লোকজন সুবিধা ভোগ করে থাকে। সবার ক্রয়ক্ষমতা, বিশেষ করে কৃষির কথা চিন্তা করে সরকার ডিজেলে ভর্তুকি দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির কারণে দেশের অর্থনীতিতে ভর্তুকির চাপ আরো বাড়ছে। এবারের বাজেটে বিদ্যুৎ-জ্বালানিতে সর্বোচ্চ ভর্তুকি ৬৫ হাজার কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ‘পাশের দেশের সঙ্গে ডিজেলের দামের পার্থক্য এখনো অনেক বেশি। ফলে এখনো ডিজেল পাচারের শঙ্কায় আছি আমরা। পাচার রোধে সম্প্রতি বিজিবির সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। সীমান্তবর্তী জেলা প্রশাসকদেরও চিঠি দেওয়া হয়েছে। ’

বিপিসি সূত্রে জানা যায়, কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ করেই দেশে ডিজেলের চাহিদা বেড়ে গেছে। বর্তমানে বিপিসিকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৬ হাজার মেট্রিক টন ডিজেলের চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে সরবরাহ করতে হচ্ছে। অথচ দেশে ডিজেলের চাহিদা দিনে গড়ে ১৩ হাজার মেট্রিক টন ছিল।

জ্বালানি তেল পাচারের বিষয়ে জানতে চাইলে বিপিসির চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ এনডিসি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেশি। সে প্রভাব প্রতিবেশী সব দেশের ওপরই পড়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে জ্বালানি তেলের দাম লোকসান দিয়ে হলেও এখনো আমরা জনগণের সহনীয় পর্যায়ে রাখতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। এ জন্যই পাচারের আশঙ্কাটা যে একেবারে আমূলক সেটা বলা যাবে না। তবে ডকুমেন্টস না পেলে সেগুলো তো আমরা অফিশিয়ালি বলতে পারি না। ’

ভারতে চোরাই পথে জ্বালানি তেল পাচারের বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সম্প্রতি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পাশের দুই দেশের দামের মধ্যে বেশি পার্থক্য থাকলে পাচার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বিভিন্ন সময় জাহাজের মাধ্যমেও তেল পাচার হয়ে থাকে। এটা আমাদের শোনা কথা। ’

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আমদানীকৃত জ্বালানি তেল প্রথমে রাখা হয় চট্টগ্রামের পতেঙ্গা গুপ্তখালের ট্যাংকারে। সেখান থেকে সরবরাহ করা হয় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে থাকা ডিপোগুলোতে। তবে এসব ডিপো ঘিরে রয়েছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। বিমানের জ্বালানি জেট-ওয়ান থেকে শুরু করে অকটেন, পেট্রল, ডিজেল, কেরোসিন, ফার্নেস ও জিওবি তেল নানা পন্থায় চুরি করে তারা। বেশি লাভের আশায় সেই তেল সীমান্ত এলাকা দিয়ে পাচার করে দেওয়া হয় ভারতে।

স্থলবন্দরে ডিজেল বেচাকেনা

প্রতিদিন বেনাপোলসহ বিভিন্ন বন্দর দিয়ে কয়েক শ ট্রাক আমদানি পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে ঢোকে। তারা ফেরার সময় স্থানীয় দোকান থেকে ডিজেল নিয়ে যায়। ট্রাকচালকদের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে পাশের দেশে ডিজেল পাচার হচ্ছে—সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ আসে বন্দরে। তেলপাচার প্রতিরোধে এগিয়ে আসে বিজিবিও।

বিপিসির হিসাব বিভাগের মহাব্যবস্থাপক এ টি এম সেলিম কালের কণ্ঠকে বলেন, বিপিসি এখন দিনে প্রায় ৬৩ কোটি টাকা লোকসান দিচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় ৫৯ কোটি টাকাই লোকসান দিচ্ছে ডিজেলে। অকটেন, পেট্রল, কেরোসিন ও ফার্নেস অয়েলে বিপিসির দিনে লোকসানের পরিমাণ চার কোটি টাকা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিজেলের দাম বাংলাদেশে কম হওয়ায় চোরাচালান বাড়ছে। পাশাপাশি দেশে একই ধরনের পণ্যের দামে ভারসাম্য থাকা উচিত বলে মনে করছেন তাঁরা। এটা হলে পাচারের ঝুঁকি থাকে না।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট

Theme Customized BY LatestNews