আজ শনিবার (৪ জুন) থেকে শুরু হচ্ছ সারা দেশে করোনা টিকার তৃতীয় বা বুস্টার ডোজের বিশেষ কর্মসূচি। চলবে আগামী শুক্রবার (১০ জুন) পর্যন্ত। এই সময়ে দেশব্যাপী এক কোটিরও বেশি মানুষকে করোনা টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) শাখার এক বিজ্ঞপ্তিতে আগেই জানিয়ে রাখা হয়েছে, সপ্তাহব্যাপী এই কর্মসূচিতে ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব সবাই করোনার টিকার বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। তবে তাদেরকে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর চার মাস অতিক্রম হতে হবে।
৪ থেকে ১০ জুন এই সাত দিনের যেকোনো দিন নিকটবর্তী টিকাকেন্দ্রে গিয়ে করোনার টিকার তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নেওয়া যাবে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে এই টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হবে। টিকা নিতে আসার সময় অবশ্যই টিকা কার্ড সঙ্গে আনতে হবে। সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরে আসতে হবে। বুস্টার ডোজের পাশাপাশি করোনার টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার স্বাভাবিক কার্যক্রম চলমান থাকবে।
এ ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, করোনা প্রতিরোধে টিকা একটি কার্যকর সমাধান। করোনার টিকার পূর্ণ সুফল পেতে হলে অবশ্যই তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নিতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশে প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে ১২ কোটি ৮৭ লাখ ৫৯ হাজার ৩২২ জন। দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছে ১১ কোটি ৭৫ লাখ ৫৬ হাজার ১০৬ জন। আর করোনার তৃতীয় বা বুস্টার ডোজের টিকা নিয়েছে এক কোটি ৫০ লাখ ৩৯ হাজার ৮০২ জন। এ হিসাবে দ্বিতীয় ডোজের পর বুস্টার ডোজ নেয়নি এমন লোকের সংখ্যা প্রায় ৯ কোটি ২৫ লাখ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) পরিচালক ডা. শামসুল হক গতকাল শুক্রবার কালের কণ্ঠকে বলেন, বিদ্যমান সব টিকাকেন্দ্রেই করোনার বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। এ ছাড়া সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এলাকায় দুই দিনের জন্য অস্থায়ী টিকাকেন্দ্রেও এই কার্যক্রম চালু থাকবে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মডার্না ও ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে বুস্টার ডোজ হিসেবে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট