যশোর সদর উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নে ঢাকাস্থ গণ স্বাস্থ্য হাসপাতালের ভিত্তি প্রস্থর ও জায়গা নির্ধারন করা হয়েছে। লেবুতলা গ্রামের মৃত শুভাংশু শেখর ও তার স্ত্রী কল্পনা রানী এবং মৃত অরুন কুমার খাঁর স্ত্রী অরুনা রানী খাঁ এ হসপিটালের জমিদাতা, গণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্ব-শরীরে উপস্থিত থেকে এ জমির দলিল গ্রহণ করেন। দাতাগণ ৫৫ শতাংশ জমি ও জমির উপর নির্মিত দুইটি টিনশেড ঘর হসপিটালের নামে লিখে দেন।
ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, গণ স্বাস্থ্য হাসপাতাল চিকিৎসা নিয়ে ব্যাবসা করে না, এটি একটি অলাভজনক ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, মানুষের দোর গোড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে আমরা সর্বাত্বক চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের দারিদ্র্যের অন্যতম কারন স্বাস্থ্য ব্যাবস্থার নাজুক পরিস্থিতি। এখানে ঔষধের দাম বৃদ্ধি সহ চিকিৎসকের অবহেলায় মানুষ চিকিৎসা হতে বঞ্চিত হচ্ছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি না হলে বাংলাদেশে দারিদ্রতা কমবে না।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাকেন দেশের সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা গত ১৩ বছরে নিজের দলের নেতাকর্মীরাও তার কাছে পৌছাতে পারেন নি। সে কারনে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের আওয়াজ তুলতে হবে। প্রত্যন্ত প্রদেশ হলেও মানুুষ তার মূখ্যমন্ত্রীর কাছে দুঃখ কষ্টের কথা বলতে পারতেন। আগামী বাজেটের বিষয়ে ডাঃ জাফরুল্লাহ বলেন, বাজেটের আকার বড় হবে,এটাই স্বাভাবিক। শুধু অপচয় কমাতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় নারী পক্ষের সদস্য শিরিন হক, গণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী মনজুর কাদের, হসপিটালের জমিদাতা কল্পনা রানী খাঁ এবং অরুনা রানী খাঁ সহ লেবুতলা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইসহাক আলী ও রফিকুল ইসলাম প্রমূখ।
উল্লেখ্য আগামী জুলাই মাসে হাসপাতাল নির্মানের কাজ শুরু হবে এবং আগামী বছরের জুন মাস নাগাদ হসপিটালের কাজ শেষ হয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে হসপিটালের কার্যক্রম শুরু হবে।
উদ্ভোধনী শেষে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার কয়েলখালী গ্রামে গণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আরেকটি হসপিটাল স্থাপনের জন্য নতুন জায়গা পরিদর্শনে যান।