মারিওপোল শহরে আত্মসমর্পণকারী ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের তদন্তের জন্য রাশিয়ায় স্থানান্তর করা হয়েছে। রাশিয়ার আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সূত্রের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাস এ তথ্য জানিয়েছে।
তাসের বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানিয়েছে, এক হাজারেরও বেশি সেনাসদস্যকে রাশিয়ায় স্থানান্তর করা হয়েছে। ইউক্রেনের আরো বন্দিদের রাশিয়ায় স্থানান্তরের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
তবে ইউক্রেন জানিয়েছে, তারা সব বন্দিদের ফেরত নিয়ে আসার ব্যাপপারে কাজ করছে। অন্যদিকে রাশিয়ার কিছু আইনপ্রণেতা বন্দিদের বিচারের আওতায় আনার তাগিদ দিয়েছেন।
মারিওপোল রক্ষার চেষ্টায় প্রাণ হারানো ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের মরদেহ কিয়েভে পৌঁছেছে। নিহত সেনাদের স্বজনদের বরাত দিয়ে বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
নিহত সেনাদের পরিবারের লোকজন বলেছে, রাশিয়ার সঙ্গে বিনিময়ের অংশ হিসেবে ১৬০ জনের দেহ গ্রহণ করেছে ইউক্রেন। সমান সংখ্যক মরদেহ ইউক্রেন ফেরত দিয়েছে বলেও দাবি করেছেন তারা। তবে এ ব্যাপারে মস্কোর তরফ থেকে কোনো মন্তব্য জানা যায়নি।
ইউক্রেনীয় যোদ্ধারা আজভস্তাল ইস্পাত কারখানায় বেশ কয়েক সপ্তাহ আটকে ছিল। গত মে মাসে বেঁচে যাওয়া যোদ্ধাদের ধরে নিয়ে গেছে রাশিয়া।
এক হাজারের বেশি ইউক্রেনীয় যোদ্ধাকে মারিওপোল থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে রুশ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় রাখা হয়। পরে তদন্তের কথা বলে তাদের রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এর আগে বলেছেন, তিনি মনে করেন- আড়াই হাজারের বেশি যোদ্ধাকে আজভস্তাল থেকে বন্দি করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের মধ্যে সীমান্তরক্ষী, পুলিশ এবং আঞ্চলিক বাহিনীও রয়েছে।
মস্কোর দাবি, ইউক্রেনীয় বাহিনী আজভস্তালে আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়েছে। তবে কিয়েভ বলেছে, আজভস্তালের যোদ্ধারা দখলদার বাহিনীকে অন্য স্থানে মোতায়েন হতে দেয়নি। শেষ পর্যন্ত লড়ে লক্ষ্য অর্জন করার পর কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নিজেদের জীবন বাঁচিয়েছে।
সূত্র: বিবিসি, আলজাজিরা।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট