1. fauzursabit135@gmail.com : Fauzur Rahman Sabit : Fauzur Rahman Sabit
  2. sizulislam7@gmail.com : sizul islam : sizul islam
  3. mridha841@gmail.com : Sohel Khan : Sohel Khan
  4. multicare.net@gmail.com : অদেখা বিশ্ব :
বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২৯ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :

ডা. মোজাহেদুল হকের ধারাবাহিক গল্প ৪৫

সাহিত্য ডেস্ক
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১২ জুন, ২০২২

জীবনের গল্প

-ডা. মোজাহিদুল হক

পর্ব-৪৫

রাত গাঢ় হচ্ছে। শহরের কোলাহল এখন অনেক ঝিমিয়ে এসেছে। হঠাৎ হঠাৎ রাস্তা মাড়িয়ে উদ্দাম ছুটে যাচ্ছে কোনও রিকশা, মোটরসাইকেল। তার হর্ণের তীক্ষ্ণ আর্তনাদ পলকের জন্য ছিড়ে দিচ্ছে স্তব্দতাকে। রাতচরা পাখির মতো। একটা লরী পার হলো শব্দ তুলে। ক্রমশ বিলীয়মান তার আওয়াজ দীর্ঘক্ষন রেশ রেখে দিল ঘরের বাতাসে।

পাশে অহনা অঘোরে ঘুমাচ্ছে। গুটিসুটি মেরে। কোন এক অদৃশ্য শক্তি যেন মুহুর্তগুলোকে দীর্ঘায়িত করে দিচ্ছে। শব্দহীন নিজ অস্তিত্ব বড় শুন্য লাগছে নিজের কাছে।

পেছনের ব্যলকনির ওপাশে বাড়িটার সামনে সারি সারি  আম আর আর নারকেল গাছ। দুই বিল্ডিংএর সামনের জায়গাটা ফাঁকা। সামনে কিছুটা কাঁচা মাটির উঠোন। আশে পাশের বাড়ীর জঞ্জালে ভর্তি সে উঠোন টা।

সেখানে একটা হিংস্র মশার বাহিনী হই হই করছে। হয়তো খুঁজছে কোন রক্ত মাংশের শরীর হুল ফোটাবে বলে। কে কোন দিকে যাবে সে নিয়ে সভা হচ্ছে বোধহয়। ইতিমধ্যে কয়েকটা আমাকে গান শুনিয়ে হাতে, গালে পিন ফোটালো।

ঘরে ফিরে এলাম। কেমন কুঁকড়ে শুয়ে আছে অহনা।ছোট বাচ্চা মেয়ের মতো। আমি সম্মোহিতের মতো তাকিয়ে আছি অহনার দিকে। ওকে যত দেখি ততই বিমুঢ় হচ্ছি। বিমুগ্ধ ও।

আমি আমার কল্প জগতে ডানা মেলে উড়ছি। এ জগৎ একান্তই আমার একার। আমার এ মনোভূমিতে বিশ্বসংসারের কারো প্রবেশাধিকার নেই।অহনারও নেই। যৌবনের শুরু থেকেই এমন একজন জীবন সঙ্গীর খোঁজে ছিলাম। অহনার মতো। এতকাল অজানা গোপন শুঁড়িপথ ধরে এগিয়েছি। কিন্তু কিছুটা গিয়েই পথের মুখ রুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। হোঁচট খেয়ে রন্ধ্র পথে ফিরে এসেছি। অথচ আমি জানতাম ঠিক পথটা আছে। আছেই। খুব কাছে। খুব সহজে সেখানে পৌঁছনো যায়। কোথায় আছে পথটা??

অহনা কি সে পথের সন্ধান দিতে এল??  এত কাল পর?

আমি হাত বাড়িয়ে অহনাকে ছুঁলাম। মেরুন টপস আর সাদা রঙ্গের সালোয়ার। বালিশ ময় অহনার চুল ছড়িয়ে। এসির টেম্পারেচার একটু বাড়িয়ে দিলাম । এসির স্পিনিং হাওয়া ওর পানে এলেই সে বাতাসে উড়ছে তার কটা।

অহনার মুখ অসম্ভব শান্ত। কপালে একটি ভাঁজও নেই। হঠাৎ চোখ মেলে কাঁপা কাঁপা স্বরে ডাকল –জান  !

মুহুর্তের জন্য শরীর শিরশির করে উঠলো আমার। মুহুর্তের জন্যই। এমন গাঢ় স্বরে খুব কমই ডাকে অহনা।

পরক্ষণেই হাত দিয়ে বুক জড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়লো অহনা।

গত কয়েকদিন ধরে পুরো দেশ জুড়ে হইহই রইরই । রোজিনা নামের এক সাংবাদিক  ধারাবাহিক ভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সব দূর্নীতি আর কেলেংকারি নিয়ে রিপোর্ট করছিলেন । সচিবালয়ে ভদ্রমহিলাকে আটকে ব্রিটিশ আমলের এক মামলায় জেলে পাঠানো হয়েছে । খবরের কাগজের ফ্রন্ট পেজে নিউজ সেটা নিয়ে । জনগনের ট্যাক্সের টাকা নয় ছয় করে লুটপাট করা আমলাদের জারি জুরি ফাঁস হয়েছে । আর সে জারিজুরি ফাঁস করেছে সে মহিলা । তার ওপর ক্ষ্যাপেছে তো সবই দুর্নীতি করা লোকজন । টপ টু বটম সকলে চুরির বখরা পায় কিনা ! সততা নৈতিকতা শব্দ গুলো এখন শুধু ডিকশনারীর শোভা বর্ধন করে । সত্যি , পুরো দেশটাই যেন গলে পচে নষ্ট হয়ে গেছে । কোথাও একটু আলো নেই । আজ কাল বিবেকটা কুটকুট করে কামড়ায় । স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে এসে এ কি দেখছি আমরা ?

কিছুতেই ঘুম আসছিল না । রাতে আজকাল ঘুম এমনিতে কমে গেছে , তার ওপর মাথায় খুব যন্ত্রনা হচ্ছিল । সারা রাত কাটল অনিদ্রায় । নতুন বাসায় আসার পর থেকে অহনার ঘুম ভাঙছে ভোর বেলাতেই । নিয়ম করে বারান্দার গাছে পানি দিচ্ছে । সকাল সকাল কিচেনে গিয়ে রুটি ভাজি তৈরী করছে । সেজে গুজে বেরিয়ে যাচ্ছে অফিস , হাক্লান্ত হয়ে ফিরছে বিকেলে । আজ গরম পড়েছে খুব । এত গুমোট যে পাখার হাওয়া ও গায়ে লাগেনা । জৈষ্ঠ্য গড়িয়ে যাচ্ছে , এখনও ভালো করে একটা কালবৈশাখী এল না । এক-আধ দিন মেঘ উঁকি দেয় বটে , মিলিয়েও যায় হুশ করে । তারপর আকাশ আবার খটখটে , নিষ্করুণ । বৃষ্টিহীন পৃথিবীতে তাপ  চড়ছে ক্রমশ । গা জ্বালা করছে ।অহনা অফিস যাবার আগে ব্যালকনির দরজা আর পশ্চিমের জানালা দুটোই খুলে দিয়ে গেছে । এসি চালাতে হলে উঠে সেসব বন্ধ করতে হবে । তেষ্টা পেয়েছে খুব ।

আমাদের নতুন বাসাটা ছয়তলায় । চারপাশ খোলা মেলা । অঢেল হাওয়া । অঢেল আলো । অঢেল প্রেম । রাত্রিবেলা ব্যালকনিতে দাঁড়ালে মনে হয় একটা গাঢ় নীল সমুদ্রে একদম আলাদা হয়ে যেন ভেসে রয়েছি ।কেবল আমি আর অহনা । ব্যালকনি থেকে নীচের গাড়ীঘোড়াকে সমুদ্রে সাঁতার কাটা মাছেদের মতো লাগে । আচ্ছা সমুদ্রের জাহাজ থেকে কি এমন করে মাছেদের দেখা যায় ? কি জানি ! দক্ষিন -পশ্চিমের বারান্দায় কয়েকটা ফুলের গাছ এনে লাগিয়েছি । প্রথম দিনই অহনার মন প্রসন্ন হয়ে গেল । নতুন উদ্দোমে লেগে গেল সে গাছ গুলোতে জল ঢালায় । চপল কিশোরীর মতো আহ্লাদী হচ্ছে । ঝপ করে ঘুম ভেঙ্গে গেল। আমি অন্ধকারেই চোখ খুললাম। বেশ কয়েক সেকেন্ড পর বুঝতে পারলাম একটা মৃদু বাজনার ঝঙ্কার হচ্ছে,মথিত করছে নিবিড় রাত্রিকে। রাতবাতির নীলছে আলোয় ভরে আছে নিশীথকক্ষ। পাখার হাওয়া ঘরময় চরকি খেয়ে মরছে। ক্যালেন্ডার ছপ ছপ শব্দ তুলছে দেয়ালে। রাত্রি এখন বড় শুন্য, অতি বিশাল। শুন্যতাকে আরো শুন্য লাগছে গানের সেতারের মীড় টানার শব্দে। সে ঝঙ্কারে যন্ত্রণায় কেঁপে কেঁপে উঠছে বাড়ীটা। আমিও। খানিক পরে চোখ মুখে পাশে ফিরলাম। ফিরেই চমকালাম। অহনা জেগে আছে। অহনা নিষ্পলক তাকিয়ে আছে আমার দিকে। আমার চোখ পড়তেই জড়িয়ে ধরলো আমাকে। মাথার চুলে কাটছে বিনুনি। ঘুম পাড়াতে চাইছে হয়তো আমাকে। হাসলো আমার দিকে তাকিয়ে, ঘুম আসছে না গো। তখনি মুষলধারায় বৃষ্টি নামলো। প্রকান্ড দানার ভারে থরথর করে কাঁপছিল আশ পাশ।

ভোর থেকে হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেল ঘরের পাখাটা। অহনা অফিস যাবে বলে তৈরী হচ্ছে। শয়ন কক্ষের জানালা দিয়ে বাইরে তাকালাম। রাতের বৃষ্টির রেশ রয়ে গেছে। ভাঙ্গা চোরা গর্তে রাস্তার খানাখন্দে জমে আছে ঘোলাটে জল।

ছেঁড়াখোঁড়া মেঘে ভরে আছে আকাশ। সূর্যতেও কেমন ভেজা ভেজা ভাব। সিক্ত গাছপালা একটা গন্ধ ছড়িয়ে দিয়েছে বাতাসে। তৈরী হতে হতেই বেশ কবার সামনে দিয়ে  চক্কর কেটে গেল অহনা। একা বাসায় আজকাল কেমন বদলে যায় অহনা। অতি সামান্য সামান্য কথাতে বড্ড বেশী হাসে। ঈষৎ রুক্ষ মুখশ্রীতে চকিতে নেমে আসে কমনীয়তার ঢল। অহনার আপাত চঞ্চল চোখ ভরে ওঠে অচেনা লাবণ্যে। সেই ক্ষনে বিচিত্র এক সিরসিরানি ছড়িয়ে পড়ে আমার শরীরে। সঙ্গে এক চোরা ত্রাস ও। অহনা অফিসের জন্য বেরিয়ে যাচ্ছে। ধীর পায়ে চলে যাচ্ছে অহনা। অপসৃয়মান অহনাকে ফিরে ডাকতে তীব্র বাসনা জাগছিল আমার। ক্ষনিকের বাসনা দমিয়ে ডোর লক করে ফিরে এলাম। বিছানায় গা এলিয়ে ভাবছি নিজের জীবন নিয়ে। এই টানাপোড়েন আর কদ্দিন? কোন দিনই কি কোন একমুখী চিন্তায় থিতু হতে পারব না আমি?  ইদানীং নিজের আদর্শ গুলোকে মনে হয় নীরস উচ্ছাশা। আর স্বপ্ন গুলো তো সব বল্গা ঘোড়া যার পিঠে সওয়ার হওয়ার ক্ষমতা আমার নেই। ডাক্তারী আর অহনাকে নিয়ে এক মসৃণ ভোঁতা জীবনের জন্য মানসিক ভাবে নিজেকে তৈরী করছি আজকাল। মাঝে মাঝে মনে হয় শুধু এক সাঁকোর উপর দাঁড়িয়ে আছি, যার দুইপ্রান্তই ডুবে আছে জলে। অথৈ জলে।

আমার নিয়তি খন্ডাবে কে??  জগৎ সংসারে সব কে?  আর সব কেন ‘র উত্তর মেলা ভার। কিছু কিছু ‘কেন’ নিজে নিজেই হাত পা ধড় মুন্ডু গজিয়ে বিরাট আকার ধারণ করে। কিছু ‘কেন’র জন্ম হয় সমাজ সংসারে মানুষের নিত্যনতুন চাহিদায়। আবার অজস্র ‘কেন’ শুরু থেকেই মোড়া থাকে কুয়াশার আবরণে, শেষে ও তাই। তত্ত্ব কথা নিয়ে ভাবতে চাইনা আমি, তবু ভাবনা গুলো এসে পড়ে। আসতেই থাকে। অবিরল ঢেউয়ের মতো। সামুদ্রিক ফেনা হয়ে প্রশ্নেরা বুকে ছড়িয়ে থাকে।

গলির মুখ পেরিয়ে তিনটা বাড়ি পরই সাড়ে ছয়তলা ফ্ল্যাটবাড়ি ।মাধবীলতা আর বোগোনভিলিয়ার জড়ামড়ি পাশের দেয়ালে ফলকে বাড়ির নাম । কপোতাক্ষ । সূর্য পশ্চিমে হেলে গেছে ।ঢাকার আকাশ আজ পুরোপুরি নির্মেঘ ।জৈষ্ঠ্য প্রায় ফুরিয়ে এল । এখনও এই শহরে মেঘের দেখা নেই ।গত দু’দিন ধরে বাতাস বইছে মৃদু মৃদু । তাতে ও গরম কমেনি । বাসার নীচে পুরোটাই গ্যারেজ । একপাশে ফ্ল্যাট দেখভালের জন্য থাকা আজিজের ঘর । বউ বাচ্ছা নিয়ে ছোট একটা ঘরে কি করে থাকে তা নিয়ে অহনার কৌতুহলের অন্ত নেই ।ফ্ল্যাট দেখাশোনার কাজটা আজিজ বেশ যত্ন নিয়েই করে । এই শহরটা আমার পছন্দের তালিকায় কোন কালেই ছিলনা । সত্যি বলতে কী , লকলকে জিভ আর সর্বগ্রাসী পাকস্থলী ছাড়া এ শহরে আর কিস্যু নেই । তবুও এই শহরেই অহনা আর আমার লাল নীল সংসার । আমি চেম্বারে চলে গেলে অহলা এক পশলা ঘুমিয়ে নেয় । এসে কলিং দিলেই ঘুম ঘুম চোখে দরজাটা খুলবে । ওর ঘুম ঘুম মুখটা দেখলে খুব মায়া হয় । মনে হয় ইস আর আধ ঘন্টা পর এলে বেচারী আর একটু ঘুমিয়ে নিত ! আবার একটু দেরী হলেও তো অস্থির হয়ে পড়ে । এই শহরে আমার আড্ডা দেয়ার বন্ধুদের কাতারটা বড্ড ছোট । ওই তো গতকালই মহসিনের সাথে আড্ডা দিয়ে বাসায় ফিরতে পৌনে বারটা বেজে গেল । বাসার গেটে পৌছেছি অম্নি অহনার ফোন । বাসায় ঢুকে একটু থিতু হয়ে আয়েশ করে বসে একটা সিগারেট খাই । চেম্বার থেকে বাসা অব্দি অনেকক্ষণ সময় লাগে যেতে আসতে । সে সময় সিগারেট খাইই না । অনেকক্ষণ পর সুখটান মস্তিষ্কে চুঁইয়ে চুঁইয়ে ধোঁয়া ঢুকে , বেশ লাগে । ফুরফুরে মেজাজে ব্যালকনিতে গিয়ে দাঁড়াই মাঝে মাঝে । নীচে স্ট্রিট  লাইটের বাতি । আশে পাশের বাড়ির ছাদে অন্ধকার । ঝিরঝিরে বাতাস , তেমন একটা উচ্চকিত আওয়াজ নেই কোথাও , সব মিলিয়ে শহরটাকে বেশ মনোরম লাগে ।

অহনাকে নিয়ে বেশ কিছুদিন কোথাও যাওয়া হচ্ছে না বেচারী বড্ড ম্যাদামারা হয়ে গিয়েছিল । দশটা চারটা অফিস করে কাহিল হয়ে বাসায় ফেরে বড্ড মায়া লাগে । শুক্রবার হুট করে অহনাকে নিয়ে রিকশায় চেপেই চলে গেলাম ধানমন্ডিতে মহসিনের বাসায় । পরে আকরাম ভাইকে জোর করে নিয়ে আসা হলো । তুমুল আড্ডা চলল ঘন্টা দুয়েক । আড্ডা জমেও ছিল বেশ । কেবল সময়ের কাঁটার বড্ড ছুটে চলায় ,চলে আসতে হলো । মহসিনের বউয়ের আতিথিয়তা , খাবারের আয়োজন দীর্ঘদিন মনে থাকবে । কিছু কিছু আত্মীয় স্বজন মাঝে মাঝে আমার রাজনীতি নিয়ে টিপ্পনি কাটেন । আমি হেসে বলি , সারাটা জীবন কি কেবল রোগী দেখে আর টাকা কামিয়ে কাটিয়ে দেব ? মানুষ হিসেবে আমার কি কোন সামাজিক দায়িত্ব নেই ? মানুষের পাশে দাঁড়ানোর একটু চেষ্টা করছি , এই যা । দেশের এখন ঘোর দুঃসময় । সাধারণ মানুষের অধিকার বিপন্ন । রীতি মতো লুটপাটের মচ্ছব চলছে । আজ নতুন করে খবর বেরিয়েছে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউব অব নিউরো সায়েন্স এন্ড হাসপাতালের ক্রয়ের ঘাপলা নিয়ে । সেখানে চারশো টাকার ফরসেপস কুড়ি হাজার টাকা , ষাট টাকার ইউরিনারি ব্যাগ তেরোশো টাকা , আশি টাকার আইভি ক্যানুলার দাম ধরেছে চৌদ্দশো টাকা , দুশো পঞ্চাশ টাকার সুঁই ধরা হয়েছে পঁচিশ হাজার টাকা , চারশে টাকার কাঁচি দশহাজার পাঁচশো টাকা , বাইশ টাকার ব্লাড ট্রান্সফিউশন সেট পঁচানব্বই টাকা । হরিলুট চলছে । এই সময়ে যদি সুখী গৃহকোণে মুখ গুঁজে লুকিয়ে থাকি , তাহলে বেঁচে থাকাই তো বৃথা । উন্নয়নের শ্লোগান তুলে যাচ্ছেতাই করে যাচ্ছে সরকার । চোখকান বুজে যেখানে সেখানে ঢাউস ঢাউস প্রকল্প শুরু করলেই উন্নয়নের রথ গড়গড় চলতে শুরু করে , এই সাবেকি তত্ত্ব আমি মানি না । আমরা কি দেখব না , উন্নয়নটা কিভাবে হচ্ছে ? কার স্বার্থে হচ্ছে ? এ কোন দেশ ? যেখানে মানুষের কী ঘটছে তা দেখতে চাওয়ার ও অধিকার নেই । গণতন্ত্রের টুঁটি টিপে ধরেছে এরা । উন্নয়নের নাম করে লুটেপুটে খাচ্ছে । এই ধরনের স্বৈরাচারীদের উপড়ে ফেলাটা খুব জরুরী । তাই সবাইকেই সামাজিক রাজনৈতিক কাজে অংশগ্রহন করতেই হবে ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট

Theme Customized BY LatestNews