নিপীড়নের বিরুদ্ধে শাহবাগ এর আয়োজনে শুক্রবার বিকেলে জাতীয় জাদুঘর এর সামনে “বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও” শীর্ষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে নির্ধারিত বক্তাদের বক্তব্য ছাড়াও ছিল নাটক-কবিতা-গান। প্রাচ্যনাট এবং বটতলা নাটক মঞ্চায়ন করে। ফুটে তোলে সাম্প্রতিককালে ঘটে যাওয়া শিক্ষকদের উপর ঘটে যাওয়া নির্যাতন এবং রাষ্ট্রের কিছু দূর্বলতার চিত্র।
সমাবেশে উপস্থিত বক্তারা শিক্ষক হত্যা, শিক্ষক নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার আহবান জানান। এছাড়াও তারা বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি নির্বাচন এলেই দেশে দেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন শুরু হয়। ওদেশে মুসলমানদের উপর এদেশে হিন্দুদের উপর আক্রমণ হয়। ফায়দা লুটে নেয় ক্ষমতার লড়াইয়ে থাকা রাজনৈতিক দলগুলো। ধর্মান্ধদের দ্বারা ভারতে মুসলমানরা টার্গেট হচ্ছে আর বাংলাদেশে হিন্দুরা টার্গেট হচ্ছে। হলি আর্টিজনের ঘটনারও ছয় বছর পার হচ্ছে। সব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং সবোচ্চ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতে হবে। নড়াইলের ঘটনায় স্থানীয় এমপি, প্রশাসন এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিরব ভূমিকা খুবই লজ্জাজনক আখ্যা দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বক্তারা। জাতি হিসেবে শিক্ষকদের কাছে আমাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত।
বক্তারা আরো বলেন, রাষ্ট্রের প্রশাসন, আইন ও বিচার ব্যবস্থার দূর্বলতার কারণে বারবার এদেশে জঙ্গিরা মাথা চাড়া দিয়ে উঠে। দেশের প্রগতিশীল সকল সংগঠন এবং ব্যক্তি যে যেখানে কথা বলছে তাদের টার্গেট করা হচ্ছে। আজ সাম্প্রদায়িক শক্তির কাছে আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনা লালনকারী যেন সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছি। এ অবস্থা চলতে থাকলে হয়ত খুব শীঘ্রই আফগানিস্তান হয়ে যাবে এদেশ। তাই আসুন সোচ্চার হই সকল অশক্তির বিরুদ্ধে সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে সকল অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে।
শাহবাগের সমাবেশে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং গণজাগরণ মঞ্চে সোচ্চার থাকা সংগঠক ও কর্মীরা সংহতি প্রকাশ করে শিক্ষক হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে। সেইসাথে প্রশাসনকে সাম্প্রদায়িক উস্কানিদাতাদের গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখার আহবান জানিয়েছে। বিকেল ৫ টায় শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৭ টায় শেষ হয় আয়োজনটি।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট