অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় প্যারাগন নীট কম্পোজিট লিমিটেডের এমডি মো. সাইফুল ইসলাম রাজাসহ আট আসামির ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রবিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন৷ এছাড়া অপর আসামি শেখ আলতাফ হোসেনকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
কারাদণ্ড প্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন, প্যারাগন নীট কম্পোজিট লিমিটেডের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের এজিএম সাইফুল হাসান, জিএম মীর মহিদুর রহমান, জিএম ননী গোপাল নাথ, এজিএম মো. কামরুল হোসেন খান, ডিএমডি মো. মাইনুল হক, সাবেক এমডি এন্ড সিইও মো. হুমায়ুন কবির।
রায়ের আদেশ আট আসামিকে পেনাল কোড ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৪০৯/১০৯ ধারায় দশ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক কোটি ২৫ লাখ ৭০ হাজার ২২০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া পেনাল কোড ৪২০/১০৯ ধারায় সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম করাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া অপর আসামি শেখ আলতাফ হোসেনকে পেনাল কোড ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৪০৯/১০৯ ধারায় পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক কোটি ২৫ লাখ ৭০ হাজার ২২০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পেনাল কোড ৪২০/১০৯ ধারায় তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম করা দেওয়া হয়েছে।
এদিন আসামি মাইনুল হক, শেখ আলতাফ হোসেন, মীর নাহিদুর রহমান, কামরুল হোসেন খান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালত তাদের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন। এরপর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। তবে এ মামলায় দণ্ডিত অপর পাঁচ আসামি পলাতক থাকায় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
এক কোটি ২৫ লাখ ৭০ হাজার ২২০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি দুদকের সহকারী পরিচালক মশিউর রহমান রমনা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলা তদন্ত করে ২০১৪ সালের ২২ মে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক মশিউর রহমান মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন। ২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৬০ সাক্ষীর মধ্যে ৪৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট