বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি সুঘাঠ ইউনিয়ন কমিটি গঠন এবং সাঁতরা গ্রাম কমিটি পরিচিতি সভা উপলক্ষে আজ সকাল ১১ টায় সাঁতরা গ্রাম কমিটির সভাপতি মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এর সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় শুরুতে সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সভা পরিচালনা করেন ক্ষেতমজুর নেতা তোফাজ্জল হোসেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি বগুড়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ফরিদ, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি বগুড়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রীকান্ত মাহাতো, সদস্য এবং বগুড়া সদর উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সোহাগ মোল্লা, বীরমুক্তিযোদ্ধা কমরেড হরি শংকর সাহা, বীর মুক্তিযোদ্ধা নিমাই ঘোষ, সামাদ প্রাং, সাজাহান আলী সাজা, সোহেল রানা, ক্ষেতমজুর নেত্রী শিরিন আক্তার, আরজিনা আক্তার রুবিয়া আক্তার, রবিউল ইসলাম প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, “দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ক্ষেতমজুর সহ গ্রামীন মজূর, স্বাধীনতা ৫৩বছরপারহলেওতাদের জীবনের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি। ক্ষেতমজুদের সারা বছর কাজ ও জীবন ধারণের মতো মজুরি নিশ্চয়তা নেই, শোষণের জাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে ভিটেমাটি হারিয়ে ক্ষেতমজুররা এখন নিঃস্ব ভুমিহীন। তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, চিকিৎসা ও সন্তানদের পড়াশোনার নিশ্চয়তা নেই। এনজিও ঋণের কিস্তি ক্ষেতমজুরদের জীবনকে আরও দুর্বিষহ করে তুলেছে। সবমিলিয়ে শোষন-জূলুম-অত্যাচারের শৃঙ্খলে বাঁধা পড়ে আছে গরীব মানুষের জীবন। গ্রামীন মজূর সহ গরিব মানুষের আত্মত্যাগ লড়াই আর রক্তের বিনিময়ে কর্মসৃজন কর্মসূচি খাসজমি,টিআর,বিজিবি, দুঃস্থ ভাতাসহ বিভিন্ন প্রকল্প আদায় করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তূ গরীবের জন্য বরাদ্দের পরিমাণ প্রায়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য, অপ্রতুল বরাদ্দ ও লুট করে নিয়ে যাচ্ছে কাউকে চেয়ারম্যান মেম্বার সরকারি দলের মাস্তান সরকারি কর্মকর্তারা, একদিকে গরিব মানুষের বরাদ্দ লুট হয়ে যাচ্ছে অন্যদিকে দেশের কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে লুটপাটকারীরা।ব্যাংক থেকে শুরু করে খনির কয়লা পাথর ও এখন লুট হয়ে যাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে গন আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।”
আলোচনা শেষে সর্বসম্মতি ক্রমে সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক মুন্সি, সহ-সভাপতি কমর উদ্দিন,রুবিয়া আক্তার এবং রবিউল ইসলাম কে সাধারণ সম্পাদক করে ২১সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয় এবং নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির রেজিস্ট্রেশন সনদ প্রদান করেন।