1. fauzursabit135@gmail.com : Fauzur Rahman Sabit : Fauzur Rahman Sabit
  2. sizulislam7@gmail.com : sizul islam : sizul islam
  3. mridha841@gmail.com : Sohel Khan : Sohel Khan
  4. multicare.net@gmail.com : অদেখা বিশ্ব :
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
সোনাতলায় সোনালী ব্যাংকের কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য নতুন নির্দেশনা মাউশির সোনাতলায় যমুনা নদীর মাঝ দিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে বিশাল রাস্তা নির্মাণ : নদী পারাপারে জনদুর্ভোগ লাঘব সবজির বাজারে উত্তাপ, চড়া দাম মাছ-মুরগির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আভাস সোনাতলায় গুড্মর্নিং কেজি স্কুলের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচন’ বিষয়ক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত ঢাকায় “ পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি নিরসনে রেমেডিয়াল এডুকেশন” শীর্ষক মতবিনিময় তরুণরা যে বাংলাদেশ চেয়েছিল, সেই বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান—শিক্ষা উপদেষ্টা সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন বাড়িয়ে ১৫০ করাসহ সরাসরি নির্বাচনের দাবি

বঙ্গবন্ধুর লাশ ছাড়া বাকি সবাইকে বনানীর কবরস্থানে দাফন করার নির্দেশ

আরজ আলী মাতুব্বর
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট, ২০২২
ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের স্টেশন কমান্ডার কর্নেল হামিদকে দায়িত্ব দেওয়া হয় শেখ মুজিবের বাসা থেকে সব লাশ নিয়ে রাতের মধ্যেই দাফনের ব্যবস্থা করতে।
তাকে নির্দেশ দেওয়া হয় শুধু শেখ মুজিবের লাশ ছাড়া বাকি সবাইকে বনানীর কবরস্থানে দাফন করার।ইতিমধ্যে সিপাইরা বৈঠক ঘরের টেলিফোনের পাশ থেকে শেখ কামাল, সিড়ির উপর থেকে শেখ মুজিব, করিডোর থেকে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, শোবার ঘরের মেঝে থেকে শেখ জামাল, এবং কামালের স্ত্রী, শেখ রাসেল, টয়লেট থেকে শেখ নাসেরের লাশ নিয়ে এক এক করে ভরছেন কফিনে। রাত্রের অন্ধকারে কর্ণেল হামিদ এসে পৌছান ৩২ নম্বরের বাড়িতে।
সব কফিন ট্রাকে উঠিয়ে একটি কফিন আলাদা করে রাখা হয় গাড়ি বারান্দায়। কর্তব্যরত সুবেদার কর্ণেল হামিদকে জানানঃএটি শেখ সাহেবের লাশ স্যার।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দাফনের জন্য ট্রাকের কফিন গুলো যাবে বনানী কবরস্থানে আর শেখ মুজিবের কফিন হেলিকপ্টারে যাবে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। শেষ বারের মতো শেখ মুজিবের মুখটি একবার দেখবার ইচ্ছা হয় কর্ণেল হামিদের। তিনি সুবেদারকে বলেনঃ কফিনটা খোলেন তো একবার।
হাতুড়ি বাটাল দিয়ে কফিনটিকে খোলা হয়। কর্ণেল হামিদ চমকে উঠেন লাশটি শেখ মুজিবের নয় তার ভাই শেখ নাসেরের। দুজনের চেহারায় বিস্তর মিল। ভূল করে ফেলেছে সিপাইরা। ক্ষিপ্ত হন কর্ণেল হামিদ। কিন্তু কোথায় শেখ মুজিবের লাশ?
ট্রাকের উপর রাখা সারি সারি কফিনের কোন একটিতে নিশ্চয়ই? তখন মাঝরাত। ট্রাকের উপর অন্ধকার। দেশলাইয়ের কাঠি জ্বালিয়ে এক এক করে সব সব কফিনের ঢাকনা খুলে চিনে নেওয়ার চেষ্টা করেন হামিদ। একটির ঢাকনা খুলতেই বরফের স্তুপের ভেতর থেকে দিয়াশলাইয়ের আধো আলোয় দেখা যায় শেখ মুজিবের হিম শীতল পরিচিত মুখ।
বাংলাদেশের ব্যাপারে একধরণের অধিকার সুলভ ভালবাসা ছিলো এই মানুষটির। এ ধরনের ভালবাসা বিপদজনক। তিনি তার প্রমাণ রেখেছেন। বাংলাদেশের আকাশে এই আশ্চর্য নক্ষত্রটির উত্থান এবং পতনের গাথা একদিন রচিত হবে নিশ্চয়ই।
পেরেক ঠুকে কফিনটি বন্ধ করা হয় আবার। ট্রাক থেকে কফিনটি নামিয়ে রাখা হয় বারান্দায়।
একটা উদ্ভট ঐতিহাসিক ভূল শুধরে নেওয়া হয় এই ফাকে।(ক্রাচের কর্ণেল – শাহাদুজ্জামান পৃষ্ঠা ২৩৯)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট

Theme Customized BY LatestNews