1. fauzursabit135@gmail.com : Fauzur Rahman Sabit : Fauzur Rahman Sabit
  2. sizulislam7@gmail.com : sizul islam : sizul islam
  3. mridha841@gmail.com : Sohel Khan : Sohel Khan
  4. multicare.net@gmail.com : অদেখা বিশ্ব :
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ০৪:০৬ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
পলাশবাড়ীতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, সেনা হস্তক্ষেপে যাত্রীদের অর্থ ফেরত পায়ের ব্যথা যেসব রোগের লক্ষণ হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ বর্ষার শুরুতেই সপ্তাহব্যাপী বৃষ্টির বার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর হরমুজ প্রণালী: ইরানের এক অদৃশ্য কিন্তু কার্যকর অস্ত্র ঈদের দীর্ঘ ছুটি শেষে আগামীকাল রবিবার অফিস খুলছে সোনাতলায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দুটি পরিবারকে শিল্পপতি রিপনের আর্থিক অনুদান প্রদান মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে ১৬ ‍দিন পর আন্দোলন স্থগিত করল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ত্রিশাল উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগ জাতিসংঘে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে মার্কিন ভেটো

বঙ্গবন্ধুর লাশ ছাড়া বাকি সবাইকে বনানীর কবরস্থানে দাফন করার নির্দেশ

আরজ আলী মাতুব্বর
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট, ২০২২
ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের স্টেশন কমান্ডার কর্নেল হামিদকে দায়িত্ব দেওয়া হয় শেখ মুজিবের বাসা থেকে সব লাশ নিয়ে রাতের মধ্যেই দাফনের ব্যবস্থা করতে।
তাকে নির্দেশ দেওয়া হয় শুধু শেখ মুজিবের লাশ ছাড়া বাকি সবাইকে বনানীর কবরস্থানে দাফন করার।ইতিমধ্যে সিপাইরা বৈঠক ঘরের টেলিফোনের পাশ থেকে শেখ কামাল, সিড়ির উপর থেকে শেখ মুজিব, করিডোর থেকে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, শোবার ঘরের মেঝে থেকে শেখ জামাল, এবং কামালের স্ত্রী, শেখ রাসেল, টয়লেট থেকে শেখ নাসেরের লাশ নিয়ে এক এক করে ভরছেন কফিনে। রাত্রের অন্ধকারে কর্ণেল হামিদ এসে পৌছান ৩২ নম্বরের বাড়িতে।
সব কফিন ট্রাকে উঠিয়ে একটি কফিন আলাদা করে রাখা হয় গাড়ি বারান্দায়। কর্তব্যরত সুবেদার কর্ণেল হামিদকে জানানঃএটি শেখ সাহেবের লাশ স্যার।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দাফনের জন্য ট্রাকের কফিন গুলো যাবে বনানী কবরস্থানে আর শেখ মুজিবের কফিন হেলিকপ্টারে যাবে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। শেষ বারের মতো শেখ মুজিবের মুখটি একবার দেখবার ইচ্ছা হয় কর্ণেল হামিদের। তিনি সুবেদারকে বলেনঃ কফিনটা খোলেন তো একবার।
হাতুড়ি বাটাল দিয়ে কফিনটিকে খোলা হয়। কর্ণেল হামিদ চমকে উঠেন লাশটি শেখ মুজিবের নয় তার ভাই শেখ নাসেরের। দুজনের চেহারায় বিস্তর মিল। ভূল করে ফেলেছে সিপাইরা। ক্ষিপ্ত হন কর্ণেল হামিদ। কিন্তু কোথায় শেখ মুজিবের লাশ?
ট্রাকের উপর রাখা সারি সারি কফিনের কোন একটিতে নিশ্চয়ই? তখন মাঝরাত। ট্রাকের উপর অন্ধকার। দেশলাইয়ের কাঠি জ্বালিয়ে এক এক করে সব সব কফিনের ঢাকনা খুলে চিনে নেওয়ার চেষ্টা করেন হামিদ। একটির ঢাকনা খুলতেই বরফের স্তুপের ভেতর থেকে দিয়াশলাইয়ের আধো আলোয় দেখা যায় শেখ মুজিবের হিম শীতল পরিচিত মুখ।
বাংলাদেশের ব্যাপারে একধরণের অধিকার সুলভ ভালবাসা ছিলো এই মানুষটির। এ ধরনের ভালবাসা বিপদজনক। তিনি তার প্রমাণ রেখেছেন। বাংলাদেশের আকাশে এই আশ্চর্য নক্ষত্রটির উত্থান এবং পতনের গাথা একদিন রচিত হবে নিশ্চয়ই।
পেরেক ঠুকে কফিনটি বন্ধ করা হয় আবার। ট্রাক থেকে কফিনটি নামিয়ে রাখা হয় বারান্দায়।
একটা উদ্ভট ঐতিহাসিক ভূল শুধরে নেওয়া হয় এই ফাকে।(ক্রাচের কর্ণেল – শাহাদুজ্জামান পৃষ্ঠা ২৩৯)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট

Theme Customized BY LatestNews