প্রথমবারের মতো গণমাধ্যমের সাথে আইয়ুব বাচ্চুর গান, তার সাথে যাপিত জীবন, বর্তমান স্মৃতি সংরক্ষণ, দাম্পত্যজীবন নিয়ে কথা বললেন তার স্ত্রী ফেরদৌস আক্তার চন্দনা।
কোলাহল কমিউনিকেশনের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কিংবদন্তি রক আইকন আইয়ুব বাচ্চুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে স্মৃতিচারণা করেন তিনি। ‘রিমেম্বারিং আইয়ুব বাচ্চু’ নামের এই অনুষ্ঠানে আইয়ুব বাচ্চুর স্মৃতিচারণা ও তার নামে ফাউন্ডেশন তৈরির উদ্যোগ নিয়ে কথা বলেন ফেরদৌস আক্তার চন্দনা ও এলআরবি গিটারিস্ট আব্দুল্লাহ আল মাসুদ। অনুষ্ঠানটি প্রসঙ্গে ফেরদৌস আক্তার চন্দনা বলেন, ‘আমি আজীবনই মিডিয়ার বাইরে থেকেছি।
এসব বুঝি না। বুঝতেও চাইনি। কিন্তু এখন বাচ্চুর স্মৃতি সংরক্ষণ আর ওর এই অমূল্য গানের সংরক্ষণের কাজগুলো আমি আমার দুই সন্তানের পক্ষ থেকে করছি। দায়িত্বগুলো আমার সন্তানের। ওরা যেহেতু বাইরে পড়াশোনা করছে। সেই কাজগুলো করার জন্য আমি এখন ছুটে বেড়াচ্ছি। এসব কাজ নিয়ে অনেকেই সাপোর্ট দিচ্ছেন। কারো কারো বাঁকা কথাও শুনতে হচ্ছে। ওদের সবাইকে তো আমি জনে জনে ব্যাখ্যা দিতে পারব না। তানভীর ভাই বাচ্চুর খুব স্নেহধন্য ছিলেন। তাই তার অনুরোধে এবং সময়ের প্রয়োজনে কিছু কথা বলেছি। ’
অনুষ্ঠানে এলআরবির ভবিষ্যৎ, সন্তানের ইচ্ছা, আইয়ুব বাচ্চু ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, স্বামী আইয়ুব বাচ্চুকে নিয়ে আবেগতাড়িত স্মৃতিচারণাসহ নানা প্রসঙ্গ উঠে এসেছে।
‘রিমেম্বারিং আইয়ুব বাচ্চু’ আড্ডায় আরো ছিলেন এলআরবি গিটারিস্ট আব্দুল্লাহ মাসুদ। মাসুদ তার প্রিয় এবিবস্কে নিয়ে স্মৃতিচারণসহ নিজের সেক্রিফাইসের গল্প বলেন।
অনুষ্ঠানটি প্রসঙ্গে তানভীর তারেক বলেন, ‘বাচ্চু ভাইকে নিয়ে আমার অধিকাংশ শোতে কথা বলি। এই অনুষ্ঠানটি বিশেষ কারণ তার পরিবার, আইয়ুব বাচ্চুর স্ত্রী এবং তাদের সন্তানের মা কথা বলেছেন। তাই এলআরবির গান ও আনুষঙ্গিক বিষয় নিয়ে খোলাসা করার চেষ্টা করেছি। এমন এক কিংবদন্তির প্রতি দর্শক কৌতূহল অনেক। তাই নানা মিশ্র মত থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। আমি চেয়েছি তারই কিছু প্রাসঙ্গিক আলাপের অবতারণা করতে। আশা করছি দর্শকরা উপভোগ করবেন। ’
কয়েক পর্বের এই অনুষ্ঠানটির একটি পর্বে কথা বলেছেন গীতিকবি বাপ্পী খান। ‘রিমেম্বারিং আইয়ুব বাচ্চু’ সিরিজটির প্রথম পর্ব অবমুক্ত হবে ১৬ আগস্ট রাত ১০টায় তানভীর তারেকের অফিশিয়াল ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে। পরবর্তী সময়ে অনুষ্ঠানটি স্বাধীন মিউজিক অ্যাপেও দেখা যাবে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট